কেউ তারে রাখে না খবরে ;
না বাইরে, না ঘরে, এ সংসারে
অফুরান অলস সময় জুড়ে
ঘরের দাওয়ায় বসে বিরবির করে;
বোঝা দায় কার তরে,
আবার চুপচাপ তারপরে।
আলো জ্বেলে জ্বেলে কৈশোরে
জোনাকিরা উড়ে গেছে দূরে;
হলো বিয়ে ঘটা করে; স্বামী সংসারে
নাগরদোলায় দুলে আচানক ঝড়ে
ছিটকে পড়ে ককিয়ে ওঠে কাকন
সোহাগের স্বামী কই? আহারে!
চারিদিকে দারুন আকাল, মন্বন্তর;
এক গন্ডা অবোধ শিশুর চর্মসার
দেহ কঙ্কাল দৃশ্যমান; বুকের ভেতর
ঢেউ তোলে কান্নার হাহাকার
কোথা অন্ন? উপায় কী বাঁচার?
কেউ যে নেই হেথা হাত বাড়াবার!
আঁধারে মুখ ঢেকে চুপিসারে
মাঝরাতে কাশেমের কলঘরে
কাকন গেল হারিয়ে -
জীবনে এমন করে বাঁচিবারে
অনাহুত আহবানে বারে বারে
কোথা হতে কোথা নিয়ে গেল তারে!
গুনগুন শোনা গেল চারিধারে
বিচারে কাকন হলো একঘরে
পুত্র-দুহিতা তারে গেল ছেড়ে
সেই থেকে কাকনের জরাগৃহে
প্রদীপ জ্বলে না আজ ঘোর আঁধারে
সমাজ নিয়েছে তার সব কেড়ে!
০৮.০৮.২০১৯
মিরপুর, ঢাকা।