এক বিকেলের ছায়ার সাথে আমি হাঁটি অবিরাম
অথচ সেখানে মেঘের ক্যানভাস বড় বেমানান
বিধ্বস্ত শব্দেরা এখন সন্ধ্যার কাছে ভীড় করে
কদাচিৎ;
চৈত্রের রাত আলো করা জোনাকির ডানা নিশ্চিত
অবশেষে ফিরে গেছে নিরুদ্দেশে - নন্দিত নব আয়োজনে
তবু আমার কোন ছুটি নেই এই যাপিত জীবনে।
তার কাছে অহমের মানে বড় দামী;
মরা জোছনার আবছায়া সৈকতে কখনো আসেনি
দীপ হাতে; শোনেনি জলের গান গাঙের তরনী।
সেই কবেকার ম্লান চাঁদ উবে গেছে পড়ে না স্মরণে
পদচিহ্ন পড়ে আছে মেঠোপথে বৃথা অভিমানে -
বিপন্ন সময় ঘিরে মরুঝড়ে থেমে থেমে বজ্র-অশনি
দিয়েছে পথের দিশা; রাত্রি চিনেছে তার আঁধারের গ্লানি।
তবু জীবন এক ছিন্ন দ্বীপ ‐ জলে ভাসা ধূ ধূ বালুচর
জলের পাখিরা চড়ে; এখানে কখনো বাঁধে না ঘর।
এখনো হালের স্রোত বাঁধা পড়ে বিবর্ণ সময়ের জালে
বেলাভূমি ছেড়ে যায় বার বার কুন্ঠিত মরা কটালে
ঘুমন্ত নগরের আস্তাকুড় হতে জাগে এক অস্পৃশ্য বণিতা
এইসব ব্যথাতুর জীবনের ভাঁজে ভাঁজে বেড়ে ওঠে গল্প কবিতা।
মিরপুর
১৫ আগষ্ট ২০২৪