অক্ষির গোচরে দাউ দাউ পুড়ছে বসতঘর
বুভুক্ষ শিশুর কান্নায় উদ্বেলিত বাতাস....
নির্জনে যুবতীর আর্তনাদ....
সেখানে শেয়াল শকুনের উৎসব।
ভিটের উপর গনগনে আগুনে
উড়ে যায় শতাব্দীর সঞ্চয়....
চারিদিকে বারুদের উৎকট গন্ধ
নিরস্ত্র মানুষের দিগ্বিদিক ছুটাছুটি....
বন-বাদার, পাহাড়ের খাঁজ পেরিয়ে রাত-বিরাতে
নিজ ভূমি ছেড়ে তারা পলায়নপর।
একটি দানব যখন লাখো মানবের
অশান্তির কারণ হয়....
কারণ হয় অসংখ্য মৃত্যুর....
ধর্ষনের....বাস্তুচ্যুতির....
তখন আয়োজন করো তাকে দাহের....
ঘৃণার প্রদীপ্ত অনলে....
প্রলয়ের বজ্র হয়ে আঘাত হানো
জ্বলে পুড়ে খাক হয়ে যাক....
লৌহ গলানোর চুল্লিতে হোক তার সমাধি....
তবু বাঁচুক বিপন্ন মানবতা।
বিশ্ব এখন নির্বাক হয়ে দেখছে ....
এক নরকের বিভীষিকা....
দেখছে নব্য নাৎসির বিষাক্ত থাবায়
বিপন্ন মানবতা ডুবছে নাফের জলে।
জ্বলে উঠুক সাত'শ কোটি বিবেক....
প্রতিবাদের চীৎকারে উড়ে যাক্ জান্তার মসনদ
নিক্ষিপ্ত হোক এইসব কীট; নিকৃষ্ট ভাগাড়ে
কাক শকুনের খাদ্য হয়ে....
তবু মুক্তি পাক বিপন্ন মানবতা ....
হেসে উঠুক ক্রন্দসী শিশু-বৃদ্ধা-বনিতা।
২৮ অক্টোবর ২০১৭