প্রতিটি রাত তার নৈঃশব্দকাল ছেড়ে
নীত হয় প্রাতে; নিকষ অন্ধকারের গুহা ছেড়ে
ধীর পায়ে আমি মৃত্যু থেকে জেগে উঠি
এক অনিন্দ্য সুন্দরে অবগাহন করব বলে
জলের তলা ফুঁড়ে হামাগুড়ি দিয়ে ভেসে উঠি
এক বুক বাতাসের ঘ্রাণ নেব ব'লে
আমার অস্থি মজ্জা, আমার রক্তরসে অজস্র
সৌর কণিকার বিচ্ছুরণ; দিনান্তে সব নিস্তব্ধ
ম্রিয়মান পড়ে থাকে; অসুরের ক্লেদাক্ত রংতুলি
আমার শুভ্র ক্যানভাসে ছোপ ছোপ বেদনা ছড়ায়।
আমি ক্রমাগত ভাষাহীন মূক হয়ে যাই
বিরস শেকড়গুলো অন্ধকারেে একপ্রান্ত ছুঁয়ে
এক অক্টোপাসের মত আঁকড়ে আছে বেলাভূমি
এভাবেই অবলীলালায় চলে যায়
তিরতিরে জলে ভেজা মরাগাঙ্গের মত দিন
ঘূর্ণাবর্তে বুড়ো হয়ে যায় ক্ষীণ চাঁদ
আমার সমস্ত চেতনায় দিনের শুভ্রতা
আমার ক্লান্ত ডানায় অজস্র বিষন্নতা
আমি আবার সন্ধ্যার কাছে ফিরে আসি
আমি দৃষ্টিহীন, আমি এক অন্ধ বধির
আমার কর্ণকুহরে বিধাতা ঢেলেছে উষ্ণ লাভা
আমি এক প্রাণহীন মূঢ় সীমাহীন
আমি অবচেতনের চাদর মুড়ে পড়ে থাকি
বিবর্ণ অবসন্ন আমি আবার নিঃশব্দ মৌন
রাত্রিগুলো ফিরে চাই
আমি আবার মৃত্যুর কাছে ফিরে যাই।