বার বার ফিরে আসি বুনো পথ ধরে
চৈত্রের রোদেলা দুপুরে
শান্ত নিসর্গ থেমে আছে এইখানে
নির্জনে ঘণ পল্লব ঘিরে।
এলোমেলো ঘূর্ণি হাওয়ায়
হিজলের ফুল ঝরে
নি:শব্দে; স্বচ্ছ সরোবরে।
তার কলেবর ছুঁয়ে চৈতি বাতাস
খেলা করে জলে; আর
আলপনা আঁকে ঘিরে হিজলের ফুলে।
জারুলের পাতা গলে উড়ে যায় বক
ভেসে আসে ঝিঁঝিঁদের ডাক;
লুকায় হলদে পাখি সোনালুর ডালে
পানকৌড়ি ঘোলাজলে জলকেলি খেলে।
হাওয়ায় ঘূর্ণি পাকায় শিমুলের আঁশ;
সরু নদী সাঁতরে ফেরে বুনো হাঁস।
কেয়াফুলে সুরভিত তটিনীর বাঁকে
ঘাসফুল হেসে ওঠে সোনা রোদ মেখে!
বনলতা দোল খায় বাতাসের সনে
বেণুবনে ঝরাপাতা বাজে শিহরণে।
এইখানে খুঁজে দেখো স্রোতস্বীর ধারে
এমন সোনার রূপ কোথা আর ঝরে!
২ ডিসেম্বর ২০১৭