রোজ রাতে বাঁশিওয়ালা বসে গাঙ্গপাড়ে
নিজ অবয়ব ঢেকে জমাট আঁধারে
তাকে ঘিরে নক্ষত্রের মিছিল মুক হয়ে থাকে
বাউল বাতাস অলক ছুঁয়ে ডাকে: সুর তোল বাঁশিতে।
আঁধারের বুক কেটে, জোনাকিরা হাঁটে বুনো পথে
ঘরছাড়া বাঁশিওয়ালা জলছবি আঁকে সুরের তুলিতে
তৃষিত মন, হৃদ্য লহরী, ক্ষুধায় সুধায় মিলে
আঙ্গুলের ভাঁজে তোলে অমৃত, গরল ভেতরে ঠেলে।
পাষান-শৈল ধীরে জল হয়ে গলে
চিতার আগুন দহে নদীর অতলে
কার তরে বাজে বাঁশি সে-যে আজ গেছে সব ফেলে
জলের গভীরে নীল তরঙ্গ থেকে থেকে ফণা তোলে।
সুর সাধে বাঁশিওয়ালা বসে নদীধার
আঁধারে চুপে চুপে ভাঙ্গে দুই পাড়!