ছেলেবেলায় আমার ভীষণ একটা খেদ ছিল
সন্ধ্যার নির্জনতার কাছে হাত বাড়িয়ে
গোধূলির লালিমা কিছুতেই ছুঁতে পারতাম না
কতদিন আলো-আঁধারীর মুখোমুখি দাঁড়িয়ে
দেখেছি সন্ধ্যার আবছায়া কর্পূরের মত উবে যায়
এখন ব্যস্ত নগরের অলি-গলি হেঁটে পার হই
এখানে কোন সন্ধ্যা নেই; অবশেষে বিধিলিপি
ব্যবচ্ছেদ করে দেখি সারি সারি কঙ্কাল; সেখানে
কোন কালে আমার কোন দুঃখ ছিল না।
জীবনের পর'তে পর'তে গদ্যের পাতা অযথাই
উল্টে গেছি; পড়া হয়নি অচেনা জীবনচরিত
তবু জোর করে টেনে এনেছি অবান্তর পরাবাস্তব
ঘটা করে দিতে চেয়েছি তার পিঠে অযাচিত
রংয়ের প্রলেপ; বাস্তুচ্যুত বানভাসী মানুষের মত
পায়ের তলায় খুঁজতে গিয়ে এক চিলতে মাটি
ধীরে ধীরে সরে গেছি বেলাভূমি থেকে বহু দূরে
তবু সন্তপর্ণে পুরাতনকে আগলে রেখে
অকারণে হতে চেয়েছি ভীষণ দুঃখ বিলাসী;
ধুলোর আস্তর পড়া ছিন্ন পাতার দিনপঞ্জি
অবসরে তুলে রেখেছি সোঁদা দেয়ালের তাকে
একাল সেকাল জুড়ে বিস্তর বিবর্ণ সময়
দেখেছি কী করে বটবৃক্ষ ছেঁটে ছেঁটে বনসাই হয়
তবু আমার কোন দুঃখ নেই; এই মুখরতা
মৌনতার কাছে একদিন ফিরে যাবে নিশ্চয়।