শ্বাশত অনুভব ___/


কোনো এক বিষন্ন দিনে,
অভিমানের পুঞ্জিভূত সাজ ছেয়ে নিবে আকাশটাকে।
নিঃশ্বাসের সুগভীর দাবানলে জ্বলে উঠলে জেদ টুকু তোমার-
দীর্ঘশ্বাসের নাম দিয়ে সেদিন আর খুঁজতে এসো না আমাকে।

পৃথিবীর জঘন্যতম অপেক্ষার স্বাক্ষী আমি,
তুমি করুণার কাজল পড়ে কত ভর্ৎসনা করেছ এ অপেক্ষার!
আমি কী জানতাম না এ অসম্ভবের অভিপ্রায়? জানতাম।
পাওয়া হবে না জেনেও মজবুরি সব করেছি অস্বীকার।

আমি কার্পণ্য করিনি অসম্ভবেও,
ভালোবেসেছি- আগলে রেখেছি ঝড়ের রাতে বাতি।
কত ঝঞ্ঝাট পুহিয়ে একা লোভ করেছি তারা জ্বলা রাতের
চিৎ হয়ে কোলে আমার চাঁদমুখির সাথে করেছি হাতাহাতি।

আমার অনুভূতি সব শ্বাশত থাকুক-
মাটির শরীরের দাম্ভিকতা তো মাটিতেই মিশে যায়।
যদি শরীর চাইতাম পুরুষত্বের নামে ওটা গোঁয়ার্তুমি হতো
নিভৃতে বলি পরমাত্মাকে, "পবিত্রা ও, দিও না কলঙ্কের দায়।"

কলমেঃ কাবলিওয়ালা (১৩-০৩-২০২৫ রাতে)
www.bangla-kobita.com/Kabuliwalah