আদরে রাখতে চাইলাম,
সুবিশাল আকাশের মালিকানা দিলাম- বাড়ির ঠিকানা।
কতজল বইয়া গেল নদীর মোহনায়
তবু আমার পানে করুণা নিয়া একবারও দেখলা না।
জীবনের রঙ হইতে কত গড়িমসি তোমার
ইচ্ছে মতোন রাঙাইতা আকাশ গোধূলির সাজে,
গাঙচিলের ডানায় যখন বাড়ি ফিরতাম
ক্লান্তির আয়েশ ভুলতাম তোমার ঠোঁটের লাজে।
মায়াময়ীর মায়া না থাকলে চলে কও?
আহত চিত্তের বেদন ছড়ায় গেলো সারা তনে।
একফালি চাঁন্দের দেখায় জীবনে ঈদ মানাইতাম
জ্যোৎস্না রাইতের বিলাসিতা করে তো কতজনে৷
আমি জ্যোৎস্না চাই নাই রূপোর বালা
চাই দুরবিনেই দেখতে আমার তিলুর হাসিমুখ,
এ বুঝি বেশিই চাওয়া সাধ্যের অতীত?
চইলে না জীবনের অমাবস্যা কাটুক!
নিগূঢ় আন্ধারে তলাইয়া যাই,
মহাকাশ থেকে ঝরছে কোনো নক্ষত্র এক।
বিবেক দহনের দায় সে আমার অযোগ্যতা
ভালোবাসার দায়ে ফুরালাম আয়ুর অর্ধেক।
বলি কও না, কিসের টানাপোড়েন অত-
ঘোড়ার পিঠের রাজপুত্তুর নই তাই?
ভাগ্যের বিধাতা যিনি জুয়ারি তো নন
বল কি করে তোমাকে জিতে যাই?
আমি আমার তরফে কার্পণ্য করিনি
করিনি অনুভূতির একটুও নিলাম।
চাঁদমুখি এলেনা অধিকারের হাঁকে
পরিত্যক্ত ঘোষণায় বাড়েনি দরদাম।
শেওলা জমেছে বাড়ির দেয়ালে
ভেঙ্গে খানখান চৌকাঠের আড়াল।
প্রাণের নিখোঁজে বেজায় অযত্ন তাই
জং পড়ে উড়ে গেছে টিনের চাল।

উন্মুক্ত আকাশ!
উন্মুক্ত জীবন!
শকুনির খাবার
মরবো যখন।
সেদিন তুমি এসো না.........

লেখাঃ কাবলিওয়ালা