অনুমতি নাই

তোমারে আরো একবার দেখনের আগে
চোখ দুইটা অন্ধ হইয়া যাক আমার!
আমি যে আমার বেলেহাজ দৃষ্টিরে সামলাইবার পারি না,
পারি না নিজেরে সান্ত্বনা দিতে, " আমি কেউই না আর"!

কত বিড়ম্বনা পাইয়া গেল জীবনের দিন,
জানো, কত অমাবস্যার কাঁপুনি দেখছে একলা গতর?
তুমি সব কিছু ভেস্তে দিছো, আমার কল্পনার সুখ-
মানুষ শূন্য দুনিয়ায় আইসা ভাঙ্গছো তাসের ঘর!

আমার প্রাসাদ নাই, রাজত্ব আছে-সীমান্ত নাই,
প্রহরী আছে ঝিঁঝি-জোনাকির!
চপল ছন্দে রন্ধ্রে রন্ধ্রে হাওয়া যতদূর বইয়া যায়
দূরদৃষ্টিতে চাইয়া নাচনী দেখতে কি আহা অস্থির!

তুমি উড়তে চাইলে আমি হাওয়া দিতাম-
আঁচলের গিঁটে জড়াইতাম গিয়া বুকের ধড়ফড়!
কতো কথার খঞ্জরে বিদ্ধ হইছি, হাসছি মনে মনে
মহারাণীর দেমাক এমন বইলা করি নাই কিছুর নড়চড়।

এখনো তাই পইড়া আছে, আগের মতোন
শুধু তুমিই নাই অনধিকার চর্চার অপরাধবোধে।
দুনিয়ার নিয়মে যে আমার না তার দাবিদাওয়া দূর
যুদ্ধ লড়ার অনুমতিও দেও নাই পরাক্রম প্রতিশোধে।

তোমারে কেমন কইরা দেখি, কও?

কলমেঃ কাবলিওয়ালা (২৮-০২-২০২৫ রাত্রে)
www.bangla-kobita.com/Kabuliwalah