আমার এক ঐশ্বরি আছে;
এক যুগের অলিক হয়েও চোখে চোখে ভাসে।
নিদ্রা-ঘোর কিংবা জাগরণের মুহূর্তকালে
আত্মার জোড়া হয় আমার একলা অবকাশে।
সে যে ঐশ্বরি হয়;
এই পাঁজরের অভ্যন্তরে সমাধি গড়েছি তার।
বিষাদের নীল আভায় ছড়ালে মুখের জ্যোতি
কাজলের কালিতে সে সাজাতো চোখের পাড়।
তাতেই আমি বিবশ হয়ে বরফ শীতল;
বেমালুম স্মৃতির বনে কত হারিয়েছি জ্ঞান।
যদি হতো এমন বিলাসিতা ছেড়ে;
অধিকারের দাবি তুলে এসে করতো বেচ্যান!
আমারও তো দায়িত্ব আছে
কত রাত কেটে গেছে ডুবে অমানিশায়।
কত জ্যোৎস্না ম্লান হলো আজি অভাবে কথার,
ঐশ্বরি তব জুড়ে আছে বিরহী চিন্তায়।
না জানি কবে আসে;
আঙ্গুলের শাসানিতে পাকড়াও করে।
আঁচলের গিঁট জানি বেজায় শক্ত
এক জীবনের জীবনীই হোক না পরে!!
লেখাঃ কাবলিওয়ালা