নছিহত____/
আমি কেনো অমন করে লিখি?
লিখি বিষাদের সোপানে উঠে আক্ষেপের বাতাস?
সেই দিক ভুলো বাতাস গিয়ে দুয়ারে দুয়ারে ফিরে
বইয়ে নেয় ধূল সাথে ঝরা পাতা ফুল,
আর মাটির নির্যাস!
তুমি জল গড়ালে ঠিক, চোখে পড়েনি পোকা;
চটজলদি মুছেও নিলে দাগ লোকচক্ষুর আড়াল।
অযাচিত বিলাপের জন্ম- মৃত নবজাতকের মতো
এক শরীর আছে শুধু নেই যেনো কাছে,
স্পন্দনের ধূম্রজাল।
হেসে দিলে, দিব্যি আছো ভালোই-
লালিত অনুভবের তীব্রতা সব অতীত বলেই না কী?
আমি তোমার কলঙ্ক নই নেহাৎ রক্তিম পারিজাত ফুল
অধিকারেই বালি সাজালে অন্য ফুলে ডালি,
নিয়তির লিখন বৈকি!
নির্মোহীত তো নই, মিথ্যা বলবো না!
তোমারে বুকে জড়ানোর লোভ নিয়ে পুষি হাহাকার!
শুধু যদি বাস্তব হতে ওগো নিরাকারী প্রতিমা
আমি উদ্ধত হতাম একাই ভাঙ্গাতাম,
যত নিয়ম দুনিয়ার।
এখন বেগানা পুরুষ পরিচয় পেয়ে-
সান্ত্বনার বাণীতে কেঁপে ওঠে দ্যাখো পাখিদের ঠোঁট।
পাতানো সংসার ছিলো মাখামাখি প্রেমের
স্বপ্নের সে রাত হয়ে দুঃস্বপ্ন অকস্মাৎ,
অন্তরাত্মা পেলো চোট।
আমি মুমূর্ষু এখন;
মরে গেলে দেখতেও এসো না।
কাজলের চোখে কান্না জুড় দিলে,
আবার প্রাণের আকুতি করবো, চোখ মুছে দিতে।
কলমেঃ কাবলিওয়ালা (০৯-০৩-২০২৫)
© www.bangla-kobita.com/Kabuliwalah