তুমি তো জাগরণীদের গল্প জানো না-
জানো না- ঘুমে কাতর চোখ কেনো বিদ্রোহ করে!
জোড়া মৃত্যুকুপে নোনা গরলের সাগর হলে উত্তাল,
কত স্বপ্নের সলীল সমাধি হয় তুমি তা জানো?
না; তুমি কিছুই জানো না সেসবের।

তুমি কাগজের নৌকা ভরে অভিযোগ পাঠাও-
আর বিষফোঁড়া বুকে নিয়ে আমি অট্টহাসি হাসি।
শুক্রাণুর দৌঁড়ে জিতে- পুরস্কারে জীবন পেয়েছিলাম
তা-ও ধূলো জমা ট্রফি এক, আছে শো-কেজ বন্দী!
মুক্তি চায়! বাঁচার নিমিত্তে বেঁচে থেকেই বা-কি হয়?

দরপতনের মুহূর্তে ঐ প্রণোদনার কাজলী ভাষা,
উন্মাদ আগ্রহে জন্ম দেয় কিছু বিষাদের সুখ!
মাকড়সার জালে জড়িয়ে যদি শাড়ির আঁচল-
প্রাণান্তকর লড়াইয়ে শেষে হাঁপিয়ে ওঠে?
সব দোষ, নশ্বর পৃথিবীর তো নয়!

আজ প্রকাণ্ড তৃষ্ণায় ব্ল্যাকহোল হয়ে গিলতে পারি
চরম অপ্রতিরোধ্য হতে পারি সাইক্লোনের ঠোঁটে।
তুমি আমাকে কখনো বিকারগ্রস্ত পাবে না-
জিজ্ঞেসও করবো না, "ভালোবেসে ছিলে কি না?"
মৃত্যুপুরীতে জীবন নেই ভাঙা কংক্রিট ছাড়া।

যেখানে বীর্যের শুঁটকি হয় অনবরত
পদদলিত হয় সবুজ চারা সাহারার ধূসর বালুকায়।
চির-হরিৎ কামনায় সেই যে দ্যোতং পাহাড়,
কারোর সংসার সেখানে টেকেনি তো!
তাই কোনো আমন্ত্রণ নেই, একাই আছি, একা।

কলমেঃ রনি পারভেজ (কাবলিওয়ালা)
সময়কালঃ ২৮-০৬-২০২৪ (রাত একটায়)