ইলশেগুঁড়ির প্রেম___/

আমারেই দ্যাখো,
সব ভুইলা কেমন পথভ্রষ্ট উড়নচণ্ডী পুরুষ আমি।
কোনো ঠিকানা নাই, নাই বাড়ি ফেরনের তাগাদাও
রুক্ষ ভূমিতে বুভুক্ষের মতোন নিথর হইয়া থামি।

প্রচণ্ড খিদা আমার জানো?
প্রেমের পেয়ালায় জমায় নাই কেউ চোখের জলটুকু।
যেই চোখে মায়া নাই, নাই করুণার ছাপ আগ্রহী মনে
সেই চোখ অবলীলায় না দেখনের ভান ধরবোই একটু।

জীবনের নিয়মে কোনো উসুল নাই,
শান্তির নামে কত যে অশান্তি জন্মায় পরিচর্যার পরে।
বুকের জমিতে তাই মনোযোগ দিছি বাস্তবতার নিরিখ
দেখি ভয়ানক ফাঁটল গিরিখাতের ন্যায় চৈত্রের দুপুরে!

নীল আকাশ কাঁদে নাই,
আমার দুঃখে হাসেও নাই ঈষাণকোণের কালা দৈত্য।
নন্দিনী যে সে-তো নিরবধি মুখচোরা, তপ্ত বাতাস হয়
খোঁজ নিবার আসে কবে পাইবো বৈয়ামের আমসত্ত্ব!

এদিকে ঝরছে আমের মুকুল,
ঝরছে চুল একে একে বয়েসের ভারে নেতায়ে গিয়া।
অভিমানী অপেক্ষার পিড়িতে, কল্পে 'নবান্নের উৎসব'
দিনকে দিন চাষের জমিনে উল্টা জীবন যায় শুকায়া।

ও মেয়ে একটু আঁচল বাড়াও,
ঘামের মুখের রোদন মুছো, আসো আপন মানো মোরে।
হৃদয়ের দশা যে কয়লার মতোন কালা হইয়াই গেছে
রঙ বদলের ঝক্কি আর নাই, শুধু দাবি চাইও অনাদরে।

প্রাণ ফুঁকে দেও সঞ্জীবনীর,
অধিকারিনী হইয়া তাদাগা দেও বাড়ির পথে ফিরতে।
তুমিই আমার ঠিকানা হও কয়লা হৃদয় বানায়া কাজল
কী পারবা না কও পাগলরে চোখে চোখে রাখতে?

কলমেঃ কাবলিওয়ালা (২৮-০৩-২০২৫ সকালে)
© www.bangla-kobita.com/Kabuliwalah