দুরন্তপনা ____//
এইযে, এখন নিজের পাশে নিজেকে বসাই,
দু চারটে কথা বলি, জোড়াতালির শহরতলি ছেড়ে।
অত অমনোযোগী দর্শক নেই গ্যালারি ভর্তি, না হোক
আমার আমিই মুগ্ধ শ্রোতা, বিগ ফ্যান বলি এ-রে।
চাটুয্যের মহা ধুমধাম দ্যাখানোর নেই আয়োজন,
টঙের কিনারে পা ঝুলাই, সঙ্গে করে মেঘের আড়াল।
আমি গল্প জুড়ি হরেক পদের, রাধুনির মুখরোচক রান্না
গল্প করেই দিব্যি ফুরাই আয়ু জীবনের আজকাল।
খানিক পরে ওসবও পানসে লাগে, হেসে উঠি দুইজন
মশার কোলাহল মিছিল দিলেই ওঠে পদযাত্রা করি।
সেই পরিচিত পথ, কালের বিবর্তনে পিচ ঢালা এখন
দিব্যি ছুটে বালেক আমিটা পায়ে পিষে শুকনো নড়ি।
বেজায় দুরন্ত ও সোনামুখি সুঁই, আমি খেজুরের কাঁটা
কণ্টকাকীর্ণ যাত্রা পুষ্প করি, লুকাই তীক্ষ্ণ খোঁচার দাগ।
সহিষ্ণু হলাম দিনাতিপাতে তবু বাচ্চামি পেয়েছে ভেতর
কি তার উল্লাস, আহা লম্ফঝম্প- দেখে হচ্ছি হতবাক!
"রাত নেমে এলো বাড়ি চল মনা, আর কত বাঁদরামি?"
শুনে, আমার আমিই ঘাড় ফেলালো চরম বিরক্তিতে।
অবুঝ সাজে নিয়ে ছলছল চোখ, কেঁদে দেয়াই বাকি
হয়নি যে ওর ইচ্ছে পূরণ, ফিরবেই বা কোন যুক্তিতে?
আচ্ছা বোকা হাবলা যে তুই, দ্যাখ পরিনত আমায়-
অতীত দিনে ফিরতে চেয়ে করিস না জেদাজেদি।
তিলোত্তমা যে পথ চেয়ে আছে ফিরতে হবে ঘুমে
নে তো এবার চোখ বন্ধ কর, আয় ফিরে আয় জলদি।
কলমেঃ কাবলিওয়ালা (১০-০৪-২০২৫ রাতে)
www.bangla-kobita.com/Kabuliwalah