হুম, মায়া নেই আর;
বিষোদগার যা হওয়ার হয়ে গেছে কবেই।
ফুলের পাপড়িরা নিষ্পাপ হয়েও কত অবহেলিত!
পুষ্পস্তবকের সতেজতা সীমাবদ্ধ যে ঐ অর্পণ পর্যন্তই।

আমি দামি ফুল হয়ে সুনাম কুড়াইনি যদিও-
লাল গোলাপ, কাঠগোলাপ আছে কত ভারি ভারি নাম!
চুমু খেয়েছি ধূলোর ঠোঁটে হয়ে পলাশের ফুল,
শিমুল ফুলের রক্তাক্ত রূপে জুটিয়েছি হাজারো বদনাম।

কই লাল বেনারসির বঁধুর সাজে কি রূপ কম?
দ্যাখো কাণ্ড, লাজে এখন চোখ ওঠে না তিলোত্তমার!
যা দিয়েছি নিঃশর্ত দিয়েছি, তবু চোখের জলে প্রোমোদ তরী,
বাসরের ফুল হতে পারবো না বলেই মিটিয়েছি অধিকার।

সজ্জিত নাটকের জীবন থেকে হারালাম;
আমার গল্পের শুরু শেষে শুধু বিপন্ন হয়েছে সময়।
'সব ঠিকঠাক হবে কোনো সময়ে গিয়ে', নেহাতই প্রতারণা;
মিথ্যে আশ্বাসে বুকের আঁধারে হয়নি নিরবে সূর্যোদয়।

পাখির কোলাহল সে রোজের নিয়ম;
আধপোড়া রুটির চাঁদটাও তোমার মতন আজ!
সত্যিই মায়া নেই, দহন নেই আর কয়লার স্তুপে
গলিয়ে ফেলেছি আদেশক্রমে মহারাণীর তাজ!

আদেশ যা সব শিরোধার্য;
পরিনতির ভয়াবহতা কেমন যে জ্বলে সে জানে।
অভিযোগ নেই কারোর কাছে, আবদার নেই কোনো
মৃত্যুই শুধু সত্য বাকি কিছুর থাকেনি মানে।

আমিও বেমানান।

কলমেঃ কাবলিওয়ালা
মাঝরাত্রি ২৭-০২-২৫