লাশ কাঁটা ঘরে চন্দ্র মাসের চাঁদ দেয়ালের কোনে পিলপিল কইরা নড়াচড়া করে
চিরল পাতার ফাঁক দিয়া ফর্সা আলো
লকলক কইয়া ঢুইকা গেছে ঘরে।
আর আমার সাথে
বুড়ো বটগাছ বালিশে শিথান দিয়া ঘুমায়। আহঃ! আর ভাল্লাগেনা!
সেই কখন থেইকা কুকুর কুকুরী অন্ধকারে জট লাইগা কানতাছে - ভোর হইলে তো একটু চা খাইতে পারতাম। কাক কি সব মইরা গেছে? অনেক দিন দেখি না। লক্ষী পেঁচা ডাকছিলো দুইবার। বৃহন্নলার আজ খদ্দের নাই। বইসা বইসা চুরোট খায়।চারদিকে শুধুই নিস্তব্ধতা। কুয়াশায় ভিজে গেছে গাছ,রাস্তা, ল্যাম্প পোস্টের লাইট। নৌকার মাঝি যাচ্ছে ঐ পাড়ে। হঠাৎ কুয়াশার ঝাপটা আইসা লাগলো মুখে। এইবার ঠান্ডা একটু বেশিই লাগতাছে হাড়ে। আমি মরলে কি ঐ লাশ কাঁটা ঘরে যামু? দুরু! আবার কারেন্ট চইলা গেল। বউডার কথা মনে পড়লেই কারেন্ট চইলা যায়! ওর কথা এত ঘনঘন মনে পড়তাছে কে? কয়দিন আগেও না স্বপ্নে আইছিলো। মাংস দিয়া ভাত খাইলো আমার লগে।
এত ঘনঘন আউনের কি দরকার? মইরা গেছে মানুষ, শ্মশানে পুড়াই দিছি সেই কবে, এখনো আইসা বিরক্ত করে কে?
-কই গো, ঘুম ভাঙলো? মায়ের আজ মৃত্যু বার্ষিকী। বাবাকে গিয়ে ঘুম থেকে উঠাও। আমি ওদিকে যাচ্ছি অনেক কাজ পরে আছে।