কত গাছ, ফুল, মাটি, চন্দন
আগড়বাতি আতরে পেয়েছি সুঘ্রাণ
শতাব্দী পেরিয়ে গেল কত, মুছে গেল চামড়ার দাগ
পাইনি আজো খুঁজে তোমার শরীরের
মাতাল সুবাস ।

আমাকে ভেঙেচূড়ে জরাজীর্ণ পুরনো পুঁথির মত ফেলে রেখেছো আবর্জনায়
অথচ দৃশ্যমান জোস্নায় তুমি মহাকাব্য হয়ে পড়ে থাক আমার বিছানায়।

আমাকে ঝড়ের মত তছনছ করে দেয় তোমার শরীরের সম্মোহিত সুবাস
ভুলতে বসি আমার ব্লাড প্রেসার, ট্যাবলেট,
তোমার জামদানি শাড়িতে কারুকাজ।

তুমি সুগন্ধি ছড়িয়ে দাও সন্ধ্যার আকাশে আমার
কুমড়ো ফুলের মত হেসে উঠো বারবার
আমি কাব্যের কাছে জেনেছি
ভালোবাসা মানে অনবরত তুমি।

কোটি টাকার সুগন্ধি, বাহারি রঙিন মদ
তোমার শরীরের শান্ত ঘ্রাণের কাছে নস্যি, শরবত!

পারলে ফিক্সড ডিপোজিট ভেঙে দুই কামরা রুমে রেখে দিতাম তোমায়।
দেওয়ালের ছবিতে পাকা চুল, চশমায়
বার্ধক্য চলে আসতো এতদিন!
তোমাকে ফিরে পেতে আর কতদিন ময়লা আবর্জনায় পড়ে থাকবো?
বিচ্ছেদেই কি সমাধান খুঁজে নিলে?
মানুষটাকে বুঝলে না!
আজও মন্দিরের ঘন্টা বাজে রোজ,
ভুলতে দেয় না তোমার কথা, প্ৰিয়মুখ।