আলো চিনি আঁধার চিনি চিনি দেহের অঙ্গ
হাঁটতে হাঁটতে হারিয়ে যাই এ কোন সুড়ঙ্গ
আসা যাওয়ার মাঝে থাকি রহস্যের এই রথে
কখনো জন্ম কখনো মৃত্যু আসে একই পথে।
দৃষ্টি চলে আলোর পথে উড়ছে পোড়া ছাঁই
অন্ধকারে জাগিয়ে রাখি চাঁদের আলোটাই
প্রাচীর ঘেরা শরীর তোমার আমার মনে দুলে
দুহাত ঠেলে চলে আসি মুখের শব্দ পেলে
মা,ও মা আমি তোমার ছোট্ট আদর সোনা
জন্ম ঘরে হচ্ছি বড় দেহের ওমে বাড়ছে প্রাণ
তোমার আয়ু কমছে এখন আমার বাড়ছে তোমার সমান।
ক্ষণ বুঝি না মন বুঝি না বুঝি শুধু তোমাকেই
ছোট হতে হতে তোমার কোলে বড় হয়ে যায় সকলেই
তোমার কোলেই নিরাপদ ছিলাম এখন আছি বিপদে
সাপের ভয়ে বেজি পালায় লুকায় মাটির গর্তে।
তুমি না থাকলে পৃথিবী অচল
দিক হারায় নদীর মোহনা
চোখের জলে ঢুকে পড়ে কিছু কালো বিড়ালের ছানা
মশার ফণায় সাপের বিষ
মৃত মানুষ গুনি এক দুই ত্রিশ
ভাতের থালায় ব্যাঙের ছাতা
ঘুমায় মানুষ ছেঁড়া খেতা
খুঁজে পাইনা তোমার ঘর
মা হারালে গড়িয়ে পড়ে চোখেরতলে ভারি পাথর।