কষ্টই যদি দিতে চাও
তবে দূরে কেন, কাছে আস
নিজের হাতে কেটেকুটে হৃৎপিণ্ডটাকে
কর মুড়িঘন্ট
নয়তো তেল নুন ছাড়াই আদিম মানুষের মত
আগুনে সেঁকে খাও
তাও যদি না পার, তবে
তর্জনী বাকিয়ে লেলিয়ে দাও
তোমার রুদ্র সৈন্যদল।
সবলরা বরাবরই দুর্বলদের দাবিয়ে রেখেছে
জান না
আমার পিতৃপুরুষকে অশিক্ষিত মূর্খ
বানিয়েছে কারা
কারা দিয়েছে গায়ে লেপ্টে ক্ষুদ্র উপাধি
তারা তোমাদেরই পিতা- পিতামহ জান না
তুমিতো তাদেরই একজন
সুদখোর মহাজনের মত
হৃদয় বেচাকেনায়
যেখানেই পাও মুনাফা বেশি
সেখানেই কর ভালোবাসাবাসি
এ যাবৎ সংসারের কয়টা নিয়ম পেরেছো ভাঙতে
চেয়েছো কি কখনো পিতামহের কুকর্ম জানতে
হতে পেরেছো কতটা সত্য, আধুনিক, বাস্তব
আমি ভাঙতে ভাঙতেই এসেছি
উঁচু উঁচু পাহাড়, গিরিপথ
ঐ লোকটিকে জিজ্ঞেস করে দেখ
সেও জানে আদিমমনা মানুষের বর্বরতা
কতটা নিষ্ঠুর, নির্মম, বেদনাদায়ক ছিল
দূরে কেন, কাছে আস
কষ্ট মাপার জন্য
সঙ্গে ইট-পাথর নিয়ে এসেছো তো
নাকি ফেলে এসেছো পৈতিক দু'নলা বন্দুক
লাঠিয়াল
পেটাতে পেটাতে ঐ বুড়ো লোকটিকে
মাটির সঙ্গে মিশিয়ে দাও
কি দরকার দু-পয়সা খরচ করে
কবিরাজ দেখাবার
জমি-জমা যা আছে ক্রোক করে নাও
বাজারের বড় রুই, ইলিশ
তোমাদের বাড়িতেই পাঠিয়ে দেব।
ঐ মানুষগুলোকে দেখ
ওদের মগজে কি স্বর-ব্যঞ্জন বর্ণ হজম হবে না
ওদের চোখ কি সভ্য,সুন্দর আধুনিকতা বুঝবে না
ওরা কি চিরকালই অশিক্ষিত মূর্খ থেকে যাবে
মানুষ কি ওদের কোনোদিনই হতে দেবে না তোমরা, নিজেদের স্বার্থে!
কষ্ট যদি দিতেই চাও
তবে দুর্বল চিত্ত নিয়ে এসো না
চিত্ত বিনোদিনী
আমার বেদনার মতই ঐ মানুষগুলো
আস্তে আস্তে বেড়ে উঠবে
বুঝে যাবে একদিন
সিংহাসন, কোঠাবাড়ি,বিভেদ।
কবিতা : চিত্ত বিনোদিনী
লেখক : অপূর্ব দাস