নজরে পরে নষ্টা নারী ফর্সা গালে কুমকুম তার
আমার চোখ পল্টি মারে গোয়াল ঘরে উদাম ষাঁড়
নাকের কাছে সুবাস নিয়ে বুকে উঠে ধুকধুকি
বন্ধু আমার আলাপি টিকেটের রঙ গোলাপী
বেতাল নাচে মাতাল মেয়ে শহর ছেঁড়ে একটু দূর
হাউজি খেলে বাড়ি ফেরে গভীর রাতে ন্যাংটা ইঁদুর।

বিনের তালে সাপে খেলে কোমর ব্যাথায় শিঙ্গা কই?
বেদের মেয়ে জোসনা এখন স্মার্ট ফোনে পড়ে কামসূত্র বই
নারীর টানে ঘরে ফিরে কেউ
কেউ খুঁজে পায় সুখ রাস্তায়
নুনের জন্য ভাত ফেলে কেউ
সারাজীবন পস্তায়।

দুই টাকা সের আলু কিনি ব্যাগ ভরে ফেলি সস্তায়
চ্যাংরা পুলা লাফ দিয়ে কয় এখন পঞ্চাশ টাকা যায় নাস্তায়
রংবাজীর দিন ছাড়ো মিয়া
সাবান ধুইলে আসবো ফেনা
বুকের দুধে সন্তান বাঁচে
সব মানুষের আছে জানা।

ছেঁড়া লংগীতে চিরুনি কিনি সাথে পাই কিছু কটকটি
উলঙ্গ হয়ে ঘুরতে পারি না লজ্জা স্থানে  ধরি ছেঁড়া চটি
রক্তের রঙ বাদামী হলে কৃষক মিলায় আমার চাম
কাঁচা মরিচ খাঁচায় উঠলে বাড়তে থাকে তেলের দাম
কামড়ে খাবি বুকের মাংস বারশো টাকা কেজি ঘি
বন্ধু আমার আলাপি টিকেটের রঙ গোলাপী।

মাতাল হয়ে পরে থাকি থার্টি ফার্স্ট এর বাড়িতে
দুধ বেঁচে মদ খাই ভাত থাকেনা হাঁড়িতে
টাকা দিয়ে কিনছি ছেঁড়ি মন দিবি না কেনো লো
তুড়ি মেরে উড়িয়ে দেবো কামুক ঠোঁটের ধূলো
মায়ের নাম অমুক তমুক মেয়ের নাম যেন কি?
বন্ধু আমার আলাপি টিকেটের রঙ গোলাপী।

ভাতার নিয়ে সাঁতার পারে রঙ্গিলা এই দুনিয়ায়
সাপের মুখে চুমা দিয়ে চামড়া ধুয়ে পানি খায়
নাগর থাকে নগরে বারবার আসে ঘুরিয়া
মিষ্টি কথার ইষ্টকুটুম অন্তর নেয় জুড়াইয়া
সারা গায়ে আতর শোভা ঘরে গন্ধ পোলাও ঘি
বন্ধু আমার আলাপি টিকেটের রঙ গোলাপী।