বান্দীর ঝি, বর্গা দিয়া চাইর বিঘা জমি
বৃক্ষের ফুল-ফল কাক-পক্ষিরে খাওয়াইছি
বাড়ির ঝোনা নারকেল পাইরা তকতি বানাইছি
মাঠে মাঠে গরু ছাগল চরাইছি
জোঁকের কামড়ে রক্ত ঝরাইছি
পুকুরের বোয়াল রুই ঝালে জুলে রাইন্ধা
তরে কই নাই খা?
বাপ-দাদার বকা খাইছি কার লাইগা
এমন কইরা তুই আমারে ছাইরা গেলি গা
কই নাই, তরে কই নাই
তুই যা কইবি তাই করমু
প্রয়োজনে চারাল মুচির পা ধরমু
ত-তুই আমারে ছাইড়া যাইস না
তরে ছাড়া বাঁচুম না, বাঁচুম না
কই নাই, তরে কই নাই
অহন কান্দোস ক্যা?
তর সুখের ঘুমে কি ছারপোকা লেলাইয়া দিছি
নাকি তর বুকের কপাট খুইল্লা
আসমানের ঐ চাঁদডারে দেখবার চাইছি
যার লগে ঘর বাঁধছস তার লগে যা
আমার সামনে নেকি কান্না কানবি না
আমার বুক অহন পাথরের লাহান শক্ত
কইলজাডা ইস্পাতের লাহান ধার
মনডা চৈতমাসের রোইদের মত কড়কড়া
চোখ দুইডা আগুনের গোল্লার মত লাল
অহন আমার ইচ্ছা হইলে মাঘমাসের ঐ চাঁনডারে
মুখে পুইরা খাইতে পারি, তরেও পারি
কিন্তু তরে খামু না, অহন তুই বুঝবি
তরে ছাড়া আমি কত কষ্টে আছিলাম
কত কষ্টে...
কবিতা : অহন কান্দস ক্যা
লেখক : অপূর্ব দাস