প্রতি নিয়ত মনে হয়-এই যেন শেষ দৃশ্য;
অন্ধকার হয়ে যাবে এই বুঝি,
আয়নার প্রতিফলনে ফিরে পেতে চায় –
মৃতদের কেউ;দেয়ালে টাঙ্গানো ছবির ফ্রেম;
মৃত গত বন্ধু সব আগ্রাসী, যেন টেনে নিতে চায়,
আমি ভীত সন্ত্রস্ত; তুমি সর্বশ্রেষ্ঠ যপ-
ধপ ধপ করে বাদ্য বাজায় অনবরত;
তুমি সর্বশ্রেষ্ঠ!!
তোমারে মিলাইনা,মিলাবো কি?
মিলাবার কিছুই নাই; থাকে নাই, থাকবেওনা কোনদিন।
প্রিয় ! তুমি প্রসংশায় পবিত্র,ধারিত্রী থেকে দুর তারকা, অরুন-গ্রহাদি
অবনত শির তোমার দিকে;
আমি মিলাই না তোমার ।।
এক এক করে কি করে কে এক,
গনিতের এক; না ভেবে অন্য কোন মতলব-
ভাবো না এক কি ? কেমন দেখতে অবিকল;
অস্তিত্ব বুঝি, জ্ঞান সৃষ্টি হয়-যখন এক বলে কিছু হয়;
ভাবো শুন্য কি , একবার;
তার কোন কি আছে আকার?
স্হান নামে ডাকলে পরে ভূল হবেনা তোমার,
যেমন শুন্যস্হান মানব মনের দৃষ্টি সীমার;
অসীম এই সীমানার শেষ যদি থাকে,
দুই-এক-তিন কোন অসীম শুন্যস্হান-
কিংবা তারও বেশী বা তারও অসীমতার বাইরে কেউ এক;
অসীম অরূপদেহে দেখচ্ছেনা না সসীম অসীমের খেলা-
এমনটাভবিনা বা অবিশ্বাসও করিনা;
তুমি বা তোমরাও অবিশ্বাস করোনা ।।
হাঁ প্রিয়তুমি!! এইভাবে ছাড়া-
আর কোন উপায় দেখিনা রন্জ্ঞন রূপ এক তোমার;
উপস্হাপনের এক ঔদার্ত্য দেখানো পাপী পরাপর,
উচ্চারনে নয় কন্ঠে নাম প্রিয় তোমার সচরাচর;
লিখুনী শব্দে নয়; ধ্বনিত হোক হৃদয় গহীনে ছুঁয়ে শেষ গুপ্তস্তর,
কাঁপিয়ে নাম প্রিয় তোমার বাজুক বিরতিহীন বার;
ইসলামিয়া, হিন্দু্য়ানায়,বৌদ্ধমনায় আর ইহুদীর-
মতান্তরের খৃষ্টীয় মন রাঙ্গীয়ে ধুম ধাম ।।
তুমি প্রিয়, প্রিয় তোমার নাম!!
তুমি এক, অদেখা এক, প্রিয় পবিত্র পরম এক;
পরান জুড়ানো হৃদয় জাড়ানো শান্তিময় এক,
প্রতি নিয়ত মনে হয় এই যেন শেষ দৃশ্য দিক
দেখছি;অন্ধকার !! শেষ হবে সব এই বুঝি়;
আমি খুজে পাই না কোন দিক-
পথিক পথিক আমি পথিক......