২১
আমি হয় আনন্দের; না হয় সুখের, পাখায় মনে হয় দিয়েছি ভর!
আর তানাহলে কেমন একটা ভিন্ন সুখাবেশ পূ্র্ন স্নান হল পা থেকে মোর ধর্,
ধন্যবাদের শেষ যেন নাই; যদি গ্রহন কর সকল প্রশঙ্সা যা করি তোমায় হে অধর
প্রিয় বিধাতা আমার; শোনো বলি তোমায় এই সুখাবেশের কারন হেতু কি এমুহুর্তের  বোধের
এই যে আমার স্বপ্ন হল পূর্ন ধারন, এ রূপ আজকের আমি বণিকের ......
এ রূপ ধরনের বনিক হবার অদম্য শখ কিন্তু প্রকৃতগত ভাবেই ক্ষনিকের,
মনের অন্তঃষ্হলের সঠিক কোঠর মাঝে, শখ তার বীজ বোনে মুক্তা মানিকের
পরাজিত মনের অর্থ পিপাসা আঠার মতো জিভে লকলক বোল তোলে চাক্ চিক্যের;
সবকিছুর মধ্যে সুখাচ্ছন্ন আগামীর আবির্ভাব ধ্বনির পালা গান শুনি হরহামেসা
তালের মধ্যে না থাকলে লয় এমনই হয়, প্রকৃতযশার কথা অর্থের কারনে যত দুঃখ দুর্দশা
আমার যে ইদানিং কি হল ভাবতে পারছিনা অর্থ ছাড়া কিছু এ কেমন তরা নেশা
আমি কত ভাগ্যবান হে বিধাতা! বলতে বাধা কৈ? আমিই দায়ই আজকের আমার যা দশা

২২(সূনীলদার মৃত্য সংবাদে)
আমার সত্যিই কিন্তু ভীষন কষ্ট হচ্ছে, সূনীলদা; বিশ্বাস কর-
তুমি আর নেই, তোমার কাব্যগুলো কাঁদে; কেন জিজ্ঞাস করতেই জানলাম,
তুমি শব যাত্রার কেন্দ্রীয় ভুমিকায় অবতীর্ন শেষ চিরধাম চিরপ্রস্হান |
তোমার কবিতার বইয়ের উপর.. কেউ বিশ্বাস করবে?
আজ আমার হাতের বর্তমানের এই মুহুর্তের এখনকার এই ক্ষন-
হাতে কলম কাব্যজ্ঞান আর লোলুপ আমার এই লেখার পাতা্,
এগারো বছরের পুরানো; তোমারই কাব্য গ্রন্থ পর ভর
আর তাই যেন শব্দগুলো মনে হয় , হারিয়ে গেল আমার
গহীন কোথায়ও; আমি যেননেই অন্য কেউ বনে যাচ্ছি,অন্য যেন কার |
শব্দ গুলো কেমন যেন দুঃখ স্নানে মেতে হাহাকার আর চিত্কার,
ধ্বনি বর্ন মালঞ্চ রঙ ছড়াতে অপরাগতা, যেন মাতম্ আহ্জারির
অসহায় হল কবি জাত শুন্য হল অভিজাত অনাবিল শব্দরাজ;
আমি তোমায় কথামালায় উচ্চারিতে দেখেছি, কি সাবলিল কারুকাজ!
আমি তোমার কাব্যরস পিপাসায় পান করেছি ধ্বনি,
উপন্যাসে উপন্যাসে একে-একে এঁকে ফেলেছি মন কিনারায়
তোমার ষ্কেচ, কবে কোন পেছনের দিন থেকে আর্চায অসহায়-
তুমি হারিয়ে্ যেতে দেবে না এইটুকু এবং চাওনা জানি,
তোমার পংতি একটা মাঝখানে এলো মনে তুমি বলতে -
কবি বার বার বলতে অবলিলায়, “কবিরা সত্যদ্রষ্টা হয়না রে জাতে’’,
তোমার আলো গুলো কিন্ত পৃথীবিময় আভা দিয়ে যাবে অনবরত-
এত সুন্দর ছিল বাচন বার কয়েকের ভঙ্গি রস্মি হয়ে যত
কালের গভীরে যেতে সময় লাগবে কাল আর কাল শত|
তুমি কেঁদনা,সুনীল দা, কাল তোমার আন্তুষ্টিক্রিয়া মত
তুমি যে কত কবির কবিতার ছন্দ জানো?নিযুত শত শত,
তবুও তোমার ভয়! সুন্দর স্বাভাবিক-সাদাসিধা,সুনীল ব্যাক্তি-¬¬দাদা,
কাঁদা মাটির আস্তরন না হয়ে ছাঁই হবে আজ গঙ্গাজল মেঘনা পদ্মা,
তুমি নিস্চিন্ত মন অনুক্ষন পরমানু সমান পৃথীবি নাকি মহাশুন্য কোন
যেখানে যাও যত দুরে আমি রাখব বেধে ছন্দে বাধব গান জেনো ||

২৩
এ কেমন ছায়া ছবি ভাসছে হৃদয় গহীনে
অবিকল আমার গলা , আমার মত আচরনে
আমার মত রুদ্ররূপ , আমি খোদ উপাশ্যে সচেতনে
প্রতিটি ইবাদত, নামাজ ক্ষন ধ্যনে অন্তরায় অর্ধ ঝুকানি পশ্চিমে
যে খবরদারির এক্তিয়ার রূপক কে কল্পনার হৃদয় পোক্ত দৃষ্টি জ্ঞানে
দেখি আর বাকি জীবনও একই দেখব ভাবি
অবিকল সেই গলা,অচরন আর রঞ্জন রূপ বর্নে
কেউ একজন হয়ে আমি কহন বাচন নিষ্চিত পবিত্রতা সন্ধানে
শ্রোদ্ধা অবনত শির দিয়ে ইবাদত ক্ষন মন সময়ে যে দর্শন মেলে দর্পনে
কল্পনার মানষ চক্ষু ভবতে গেলে যেমন কর্পন্যহীন সিজদায় জাগরনে
অনবরত দিনের পর দিন একজনের সাথে কেবল কথা শুধু বিজনে
সেই জনার রূপ কিরূপে দেখে হৃদয়ে গাঁথি রাখি
প্রতিটা চিন্তায় যে একটা বাহ্যিক পার্থিব রূপ হৃদয় নয়নে
যেমন জান্নাত কথা ভাবতে রঙ বেরঙের বাস্তব বাগানে
যেন আমি অবস্হানরত নই এমন শুভ্র ডুপ্লেক্সটা যে রঙে
সাজানো আর খোলা সার্সি যুক্ত জানালা দর্শনে
কিংবা গন্ধম ফল ভাবতেই আপেলই শুধু ভাসে চক্ষু মনে
ঠিক জ্বীন বল্লে যে জাতিটা বুঝি বা চিন্তার চেতনায় স্নানে
মানবাকৃতি অথচ স্বচ্ছ স্পুটিকের প্রানীকুল শুধু কল্পনার জ্ঞনে
ঠিক তেমনি ভাবে যদি নিরাকারের ঘোষিত স্রষ্টাসত্বা মানুষ মানে
বিদুশীত অন্ত সত্যরূপ বাজে কানে


২৪
নতুনের গন্ধ চায়
চাওয়া ছিল অফুরন্ত আবেগের
পাতার পরের পরে ঝরার
ঝর্নার মত নির্ঝনীর মত পাবার
কলমের কালি হয়ে
নতুনের ছোঁয়ায়
নতুনের ডাক পাওয়া ছিল পূর্বে
আসবে যে বলে কওয়া ডাক
তারই ফাঁক ফোকরে
পরছে পরে আবেগের কথা
আচেনার গর্ভে
দুচারদিনের অতীতের মর্মে
যাব যাব যতবার ভাবি  
আকুতি মিনুতি করে সাজি কবি
তা আসলে অবজ্ঞার আড়ালে
ফেলে আসা অজ্ঞতার ছবি
না পাবার মোহের যে আনন্দের কুটির
তারই বন্ধ কপাট্টার সোনালী তালার
রূপালী চাবি

গত হওয়া দিনও ভাবনা জুড়ে ছিল
নতুনের মলাট মোরা দীল
কিলবিলকরেও উঠেছিল রূপ তার দেখার
হয়নি যাওয়া অহেতুক দৃষ্টি বিনিময়
ছল চাতুরের দৃষ্টি পাবার
অপরিনাম আশা থাকার
সম্ববনায়

আসবে, বা যাবে বা যাব, না তা না
দিন গড়াচ্ছে গড়াকনা
প্রকৃতিরে সপেছি সবই অংশ
হংস সে বানাবেই তারে পাবার লাগি
তাই আপেক্ষা করো সেথা, আগুন্তকের রূপ নিয়ে
আমি আসবই দিতে তোমারে
তার বুকে থাকো কিছু দিন, ভালনাসার জন্ম দাও,
সেথা করো তার পারাপার রীতির বংশধর
০৫/০৩/২০০০ ০০!৩১!৪৫



২৫
জবাবে জবাব ফিরিয়ে দেবো
এইভেবে সব
নব যাত্রায় ভয় তবু পাই
এই রূপে যপি ভাবনার যপ
বাঁশির সুরে উড়ে যাবে
যান্ত্রিকতার দিন
ভাষায় ভাষায় বেজে উঠবে
মেঘের ভেলার বীন
আজ শেষ রাত্রিরে সুর
কেন ভেসে আসে অন্য কারও গানে
অন্য কারও কন্ঠে
অদৃশ্যের ধ্যনে
কন্ঠ সুর ,লন্ঠন জ্বালা একই ভাষা
দেখা , বুঝা অনুভবের দেশটা খাশা
দশ পঞ্চাশেক বছর পিছে
বদলেদিল ভিন্ন সাজে
ভিন্ন দেশে ও প্রদেশে
চলে গেছে দুরে অন্য গ্রহে
অনেকেই আজ অসীম কারও গৃহে
ভয়ভীতি রাজনীতি ক্ষমা প্রার্থনাতে
এগুতে চায় ফেলে ধরে রক্তমাংসদেহে
কি দেব তাদের তরে
যা আছে বা ছিল নীড়ে
অসহনীয় পীরান বুকে বাজে
কিছু দেবার বেলা এলে
আগ্রাসনী গ্রাস ক্ষিপ্রবেগে
চেপে আসে চারদিক ঘিরে
তচনচ করার বন্য থাবায়
আমার সবুজ নীড়ে
২১/১১/১৯৯৯
২৬
ধারনার নতুন রূপ রেখায়
ধরা দিয়েছে কেউ
ভয় ভয় শীতল চারধার
ভাবনা ছাড়া নয় আর কিছুই
ভাষার ছোঁয়া শুধুই
ছন্দ কিছু বাধা যার সাথে
লিখুলীর ধাঁচে শুন্য হাত মুঠ
চেপে ধরে পাতায় লেখে কুটকুট়
তোমার কথাগুলোও রেখেছি
হয়ত অদৃশ্য কোন কার্বন লেখনীর শব্দ গর্ভে
হয়ত বেধেছি অস্পৃশ্য কোন স্বপ্ন কাহীনি
তোমার কথা ভেবেছি অনেক কাব্যকারের সভায়
তুমি আসলে কে, জানান দেওয়া কেউ,
অনেক দিন কেটেছে শুন্য পানে
জানা এবং মানা এদৃশ্য পট
বলাই আছে পূর্বে কোন পাঠে
জানি এ অসীম,অসীম যেল পথ!
তবুও রোধ করা যায় না দৌড়
তবু ভাল লাগে প্রথা ভাল লাগে পথ ,
আমি তো জানি আমি কি করি
পাপ আর পাপ পাপের ছড়াছরি
বিভিন্ন পথ ছাড়ি বিভিন্ন পথ ধরি
অন্তরে আমি জানি কার জানি
এত পারাপারি
স্বচ্চতর জল যার নিচে তল
তার মত স্বচ্চ পূর্ন যা অভিন্ন
তাই চির গন্য
আমার এ ভাবনা সর্বেসা নগন্য
অহেতুক কি ভাবনা ক্ষুদ্রতায় যা শুন্য
০৯/০৩/২০০০ইং০৩/১৫/২৪ সেকেন্ড

২৭
প্রতি নিয়ত মনে হয় এই যেন শেষ দৃশ্য
অন্ধকার হয়ে যাবে এই বুঝি,
আয়নার প্রতিফলনে ফিরে পেতে চায় –
মৃতদের কেউ,দেয়ালে টাঙ্গানো ছবির ফ্রেম
মৃত গত বন্ধু সব আগ্রাসী, যেন টেনে নিতে চায়
আমি ভীত সন্ত্রস্ত, তুমি সর্বশ্রেষ্ঠ যপ
ধপ ধপ করে বাদ্য বাজায় অনবরত
তুমি সর্বশ্রেষ্ঠ
তোমারে মিলাইনা ,মিলাবো কি ,
মিলাবার কিছুই নাই, থাকে নাই থাকবেওনা কোনদিন
প্রিয় তুমি প্রসংশায় পবিত্র,ধারিত্রী থেকে দুর তারকা, অরুন-গ্রহাদি
অবনত শির তোমার দিকে
আমি মিলাই না তোমারে
এক এক করে কি করে কে এক
গনিতের এক, না ভেবে অন্য কোন মতলব-
ভাবো না এক কি, কেমন দেখতে অবিকল
অস্তিত্ব বুঝি, জ্ঞান সৃষ্টি হয়- যখন এক বলে কিছু হয়,
ভাবো শুন্য কি , একবার,
তার কোন কি আছে আকার,
স্হান নামে ডাকলে পরে ভূল হবেনা তোমার,
যেমন শুন্যস্হান মানব মনের দৃষ্টি সীমার
অসীম এই সীমানার শেষ যদি থাকে,
দুই-এক-তিন কোন অসীম শুন্যস্হান
কিংবা তারও বেশী বা তারও অসীমতার বাইরে কেউ এক
অসীম অরূপদেহে দেখচ্ছেনা না সসীম অসীমের খেলা
এমনটাভবিনা বা অবিশ্বাসও করিনা
তুমি বা তোমরাও অবিশ্বাস করোনা
হাঁ প্রিয়তুমি এইভাবে ছাড়া
আর কোন উপায় দেখিনা রন্জ্ঞন রূপ এক তোমার
উপস্হাপনের এক ঔদার্ত্য দেখানো পাপী পরাপর
উচ্চারনে নয় কন্ঠে নাম প্রিয় তোমার সচরাচর
লিখুনী শব্দে নয় ধ্বনিত হোক হৃদয় গহীনে ছুঁয়ে শেষ গুপ্তস্তর
কাঁপিয়ে নাম প্রিয় তোমার বাজুক বিরতিহীন বার
ইসলামিয়া, হিন্দু্য়ানায়,বৌদ্ধমনায় আর ইহুদীর
মতান্তরের খৃষ্টীয় মন রাঙ্গীয়ে ধুম ধাম
তুমি প্রিয়, প্রিয় তোমার নাম.
তুমি এক, অদেখা এক, প্রিয় পবিত্র পরম এক ,
পরান জুড়ানো হৃদয় জাড়ানো শান্তিময় এক
প্রতি নিয়ত মনে হয় এই যেন শেষ দৃশ্য দিক
দেখছি অন্ধকার শেষ হবে সব এই বুঝি়
আমি খুজে পাই না কোন দিক
পথিক পথিক আমি পথিক......



২৮
কোথায় ছিলাম কোন চিন্তায়
কি যেন একটা বিষয়
মনে পড়েছে চাঁদ
চাঁদের বাতাস, গন্ধ আর স্বাদ
সবকিছু বিরূপ পৃথীবির বিপরীতে
সব কিছু বাদ
অথচ উপমার শেষ নেই
কবিতা গল্প গান কিছু বাকি নেই
হয়ত কেউ ভরা পূর্নিমার আলোর আঙ্গিনায়
মায়াবী তীব্র মায়ার দৃষ্টি স্নানেও কিছু পায় নাই
এত যে বকাবকি চাঁদ নিয়ে ছিনিমিনি
তোমার কি তুমি তো একই
ও ভাই পৃথীবি
তোমায়ও আমি দেখি দুর থেকে যেমন তুমি দেখ
রাতে তুমি আমায় দেখ তবে আমি দেখি নাকো
আমি দেখি তোমার দিন যে পাটে
আমারই মত লাগে জেনো তুমি যেমন দেখ মোরে রাতে
তোমাদের যদি ক্ষমতা থাকে , জানালার পাশে
এভাবে না বসে না তাকিয়ে আকাশে
না কর রচন কবিতা বৈশ্বিক প্রেমিদের না কর বিতরন প্রেম প্রকাশে
আমারে হাঁ আমি চাঁদ আমারে

২৯
শব্দ নামের শব্দটিকে শব্দ দিয়ে আর শব্দ দিয়ে,
বাক্য বানাই ছন্দ দিয়ে বর্ন ধ্বনির মিশ্রনে,
কাব্য গাঁথি রাশি রাশি আনন্দর এক জয়গানে,
প্রাপ্য রূপ বিবর্ন ধূপ ধোঁয়াও ঢেউ দোলা দিয়ে
কি যে বোঝাও-
বুঝেনা কেউও, কি ছাঁই উড়াও!
অবুঝ তাড়না নিয়ে
এ কোন গান! না উত্থান উপন্যাস না পদাবলী
গত হওয়া দিন বছর শুরু করে যুগাব্ধ শুধু শব্দাবলী
কঠিন দুর্ভেদ্য অর্থ নিরর্থক বকাবকি কব্যময় বলাবলি
অনেক হয়েছে ক্ষান্ত দাও তুমি নও বিবাগী সংসারত্যাগী
ইনিয়ে বিনিয়ে নয় ঠিক ভাবে চাও
যতই ধাও, তুমি যতই পালাও
নিঝুম কোননা কোন দ্বীপে গিয়ে
তবে গাও সুন্দর স্বাভাবিক সততার সত্য
সাধারনের সব সময়ের জন্য বোধগম্য
জয়গান না হয় সহজ ভাষার কোনপ্রিয়র সেটাই অগ্রগন্য
শুধু এটাই কোন ,যেকোন আদেশ ,এভাবে যে বল্লেন ও,
তুমি কি জানো আমি এতেই যথেষ্ঠ ধন্য
তুমি মহামান্য তুমিই এক সর্বজ্ঞ প্রসংশনীয় অনন্য.....

৩০)
আমার ঘরের বিছানাটা উত্তর দক্ষিন মুখী  বিছানো
আমি উত্তর মুখী মাথা পেতে শুই চোখ মেলে এখনও
সাথে জেগে দুটি বালিশ এককোল বালিশ, তুমি কলম
আর এই কালি, ডাইরী-ডাইরীর পাতা, রাত জাগা কবিবর মন
হারা তোরা সবাই হারা চাঁদ জো¬স্নার ছায়া মারা
এমনই বলছে মন, ডান কাত ফিরে জানালায় ওঃ চাঁদ মাতোয়ারা
কি মমতায় আলোর আবরনে আবৃত অনন্ত সাল কাল দিবানিশি
করেছ এই পৃথীবির তুমি অপরূপ মায়ার মত হয়ে তার প্রিয়সী
তোমায় নিয়ে অনাকাঙ্ক্ষিত নিয়মিত কাব্য লেখালেখি যেন সে চাঁদ প্রেমী

৩১)
শ্বাষরূদ্ধকর
এমন কবিতার কবি যে আমার কথা বলে
বলবে পদে পদে রনে রনে
প্রকাশ্যে প্রকরনে
বাদ্যের ধ্বনির মত ধ্বনিত হবে হৃদয় বায়ুর তালে
তুলতুলে অস্পৃশ্য অঙ্গ মাঝে
পা জুড়ে নূপুরের সাজে
যেন সবার স্মৃতির ঘন্টা বাজে
এমন কাব্য যেন সভ্যলোকে
দিকে দিকে ছড়িয়ে বলে
কবি আত্মার কথা বলে

কবি কারে কারে টানে
টানে মানে কবি কারে জানে
জানার পরে তারে কোন ভাব
আঙ্গিনায় রাখে
কবি এমন কথাও বলে
একদিন কোন এক পবিত্র বালক
সব ধর্ম যাজকের মুর্তি নিবে কেড়ে
এমন একদিন আসবে
তাই এখনও সূর্য উঠে ডুবে
এমন কবিতার কবি
যে আমার কথা বলে
তথ্যযুগের মাধ্যম দুরালপনী যন্ত্র
মন্ত্রের ধ্বনিতে নগরীর ওপ্রান্তে
তুলে দিল তথ্য
আসরের সন্ধ্যা সাজ শিশু সব কবিরা
শোনে তার কবিতা
পালন করে শিশু প্রতিযোগীতার ভুমিকা
কবি মাঝে শোনায় তার কবিতা
এমন একদিন আসবে......
ভয় পায় পাঠক শ্রোতা
দুরালপনী যন্ত্রে শোনা
গনমাধ্যমে প্রচার করা
শিশুর আসরে কবির কবিতা
এমন একদিন আসবে........
তাহলে কি ব্যর্থ বাকি কবি
ভন্ড হবে সবাই যদি
আসরের কবির কবিতা মানি
ও ভাই আসরের কবি তুমি
দুঃখ পাবে একথা শুনে জানি
তোমার দেশ আমার দেশ ভিন্ন আজ
যদিও এক বুলি একই সাজ
বরঙ্চ এমন কথা বলো
এমন একদিন আসবে
যে দিন পবিত্র বালকই নয়
বুঝবে সবাই মানবেনা কিছুতেই
তার নিজেরই মাঝে রয়েছে
স্রষ্টার মাধ্যম দুরালপনী যন্ত্র

৩২)
কবিতা পড়তেও আর ইদানিং ভাল লাগেনা
লালন পড়ি ভক্তি হয় অস্বীকার করবনা
ঠাকুর বাবু, প্রিয় সুনীল, মহাদেব সাহা আর তসলিমা
শামসুর রহমান আরও কতজনের কত কি......

খুব একটা বেশী আবশ্যম্বী কিছু পড়িনি
অনেকে বলাবলি করে হবে উন্নত শব্দ ঝলকানি
যদি পড়ি অযস্র শত কিংবা কিছু কাব্য খনি
যেমন রবিন্দ্রনাথ, নজরুল শীর্ষেন্দু গুরুমনি

আমার কাছে কি মনে হয় জানো এসব কুবুদ্ধি
সিদ্ধ মতে যদি ভাবো গতিশীল রস্মিচূড় শুদ্ধি
বুদ্ধিদীপ্ত কিছু অমায়িক ধারনা রচনা সাথে সন্ধি
কার সাথে কি ভাবে কবি মাত্র বুঝে বুঝবে কোনটা্ সিদ্ধি

করে রচনা অন্যের কাব্য ভজনা করে শব্দ ভারী কোষাগার
বারবার করে আবৃতি আমি কি ছোট হতে পারি  পরাপর
তাই কবিতা পড়িনা পড়তে চাওয়া চাই না সব একাকার
আকার প্রকার থেকে উঠে আসে প্রয়োজন পর যা দরকার

নিরুপায় হয়ে শব্দ কোষ ভেঙ্গে যায় কলমে খোঁচায়
শুরশুর করে রোজকার মত ভেতর থেকে আসে আশায়
দুর না সুর পড়ে তোরজর কত আতর মেখে যায় অসহায়
নিরালায় নুয়ে যব্দ করবার যত ছন্দ,র আঁকে আমি কবিময়  

শব্দগুলো তখনি যেন প্রান পায় আমিও অমনি ঠিক ক্লান্তিহীন
নির্ঘুম নিরন্তর নাকি নাবিক রাতের সাগরে পথিক আশ্রয়হীন
তরতাজা কিছু করব ভাবি নিয়তির নির্মানহীন ভূভুক্ষ কঠিন
তিল পরিমান যেন ঠাই নাই অবস্হান নেই সবাই নিজ পক্ষে প্রাচীন

৩৩)
কিসের আশায় বার বার মন হস্ নিরাশ
ত্রিশ ছড়ার ছন্দ গুন ধরবার প্রয়াস রাশ
ত্রাস যত করার বন্দে দিন থাকতে পার করো দ্বীন বিকাশ
আজ না হয় হৃদয় জায়নামাজে সেজদা দিলাম বেশ  
বেচে গেলি দুনিয়ার তরে আজ
কি হবে পরে বলা আছে কিতাবে
সেই চিত্রের ভয় এখন কারও হয়না
কি যে হবে সিংগায় ফুক দিলে
তিলে তিলেতিল তিল তুলার মত গয়েব হবে
ভয় নাই কাররও
আখির মনি কোঠা
দ্বীলেরচিলে কোঠা