১
বাহুর যে বল তোমায় আস্ঠেপৃষ্ঠে জড়াতে চায়
তার দোহাই; তুমি যেওনা্ ।
মমতার মুহুমুহু জাগরনে আমার যে আকুতি তার কছম; তুমি যেওনা।
মায়ার যে অনন্ত টান আমার বুকে তার দিব্যে; তুমি যেওনা।
প্রান নিয়ে খেলছি, ছোট বালকের বল খেলার মত,
শত শত ক্ষন অগুনিতভাবে রাএি যাপন!
এসব মিথ্যে নয়, হয় আমি না হয় তুমি,
জানি তুমি থাকবার নও।
কথার যে মালা গাঁথা যায় যার নিশ্চিত প্রমান আমি,
জানি তোমার কাছে সবই বারাবারি ।
তুমি যেমন রাতারাতি হতে চেয়েছ রাজকুমারী-
শব্দ মোহের সেই শিকারী আমি; আমিই জানি
জগতের যে নিপুঁন সাজ ভাজে ভাঁজ রেখে একাকার
কবেকার গল্পের মত উড়ে গেছে,
ভস্ম হয়ে ইথারে ছিলনা কেউ দেখবার।।
২
কিছুক্ষন আগের মৃত আধাঁর ছিল যা, তাইতে ডুব দিয়ে দৌড়ে ছুটেছিলাম যেখানে-
সেই আমার অনুভব কাব্য প্রেম, ঝনঝন করা প্রিয়ার অলঙ্কার,
নতুনের মুখ!
এমন কিছুযে আসে নাই অতীত রচনায় তা নয়,
তারে দুরে রেখেছি রঙ্গীন নেশায় !
আমি এমন চাই নাই আপাত সর্ব রঙ্গে যেমন কেবল প্রশ্ন,
এমনটা যে ধাঁই প্রশ্ন ফেলে তার সমচীন উত্তর মিলে নাই,মেলে নাই কেউ ।
নীলের যে সাগর জল, তাকে কি পবিত্র বলবো?
দর্পনে যে আমার প্রতিক্রিতি-তারও কি কোন প্রশ্ন আছে?
আমি লিপিকার নই; চাই যেন কেমন-
একটি লোলুপ চাওয়া মোহে,কিছু বলবি কি তুই ?
বলার ছিল অনেক সংখ্যায় হাজার দশেক শতেক,
কতেক মানুষ কতেক জনের কথা আঁকা ভাষা,
শুন্য পটে আঁকে ছকের ঘোরে!
সবই কি জগৎ ঝড়ে উড়ে?।
অতীতের বন্ধু শব্দ আর আসেনা কাব্য যেন আর গাঁথে না, কাব্য সর্ব বুকে কেবল দুঃখমনা ভাব ভাবনা আনে,
রাগ আর রাগীনির নৃত্য ক্ষনে -মনের দুঃখ টানে সবার পানে ।
চোখের কাঁজল রেখার মধ্যে ছিল ভালবাসা, ক্ষমতায় টেনে এনে চোখ ভরায় অন্যের;
সবার মত স্বাভাবিক ভাবেনা দৃষ্টি-
সৃষ্টি করতে পারে নতুন কিছু আপন অনুভবে; ধরে কবিদের ক্রষ্টি।।
৩
বহ্নিশিখা যেন রূপ আলো তার; সপ্তপর্নে সাজায়ে ধরা দিল সময় শব্দধ্বনি-দৃষ্টি সমাহার,
পরপর হয়েছিল কিনা সপ্তস্তর আকাশ সমউঁচু যা ।
জলের যে আশা ঝরে পরার, সময়ের যে চক্রধার,
তার বলে এ ঘট বলে, ঘটে যায় জীবনের শুরু।
কতটুকু কল্ব ধ্বনি রেখছে শব্দধ্বনি মেপে গুনগান? তারই মাঝেই যে নিহিত প্রমাণ-
তুমিই মহান নেই কোন সন্ধিহান ।
তুমি যে সপ্ত হতে প্রথম- সর্বময় কর বিচরন স্মৃতি সুর ক্ষন নামে সময়ে কর আচরন !
বুঝে নাই সুর বুঝে নাই মন,
এ তোমার কেমন আগমন ?
চারধার সংসার অভাব অনটন ক্ষন ক্ষন জাগে মন জাগে জয়গান,
এখন কি সাজে তার হটাৎ এ আগমন?
তবু স্তরে পেয়ে টেনে নেয় মন ঠিকই, তুমি বুঝে নেও মোর..............
৪
ছন্দ গাঁথা বন্ধ হবে বৃন্দাবনে গেলে!
রন্ধ্র রন্ধ্রে কথা কবে কাহানী বিহ্বলে,
তপন আলোর বিচ্যুহৃতে শব্দ রস্মি আঁকি,
কত কথার ঝুড়ি ছিল সবই যেন ফাঁকি।।
আমার যত স্বপ্ন ছিল তারার গড়নে,
ছাঁই এর মত হারিয়ে গেল গহীণ অরণ্যে ।
দীর্ঘশ্বাষে সুবাস ছুটে তোমার কল্পনায়,
আকাশ জুড়ে ভেসে উঠে আল্পনা যেন নবীন কামনায়-
হায় ! স্মৃতি কত নিরুপায়, ধায় যতদুর যায়,
কিভাবে যে কার কথা কখন যে বলে যায়
কোন নাইকো বুঝার দায়।।