ধরো মীম,
এক যুগ কিংবা আরো বেশিদিন বাদে
তোমার সাথে দেখা হয়ে গেলো আমার,
কোনো এক কফি  সোপে
তোমার স্বামী বিল মেটাচ্ছে, তুমি এসে
আমায় জিজ্ঞেস করলে,
'-এই, তুমি কেমন আছো,কবি?
-ভালো তো?'
চশমাটা নাকের উপর বসিয়ে বললাম,
'ভালো, কিনতু, আমি ঠিক আপনাকে চিনতে পারছি না।
কে আপনি বলুন তো?'

(এক মুখ অভিমান নিয়ে বসেছিলে পাশে
তুমিও জানো আমি তোমাকে ভুলতে পারিনা।
আমাদের দেহের সাথে আমার দেহের মিলন না হোক
না হোক কোনো পরস্পর স্পর্শ, সঙ্গম।
সঙ্গম তো হচ্ছে, তোমার হৃদয়ের সাথে আমার হৃদয়ের,মনের সাথে মনের।
সেটা তুমিও জানো,
সেই প্রথম থেকেই, তোমার পুষ্পে
বাধানো  চুলের  বর্নানা দিয়ে কতগুলি ডায়েরী যে লিখেছি,
তোমার লুকানো  হাসির উৎপত্তি খুঁজতে,
খুঁজতে চোখের গভীরতা-
কতকাল যে সাঁতরিয়েছি সেই অক্ষিগোলকে।
এই সব, ডায়েরীর প্রতিটি পাতা জানে,
জানে, না ঘুমোনো রাতগুলিও।
জানো তুমিও।
-কিন্তু তুমি বলতে, ওই সব তোমার কবিতা, মিথ্যে কবিতা!
-তুমি তো  কবিতায় বেশ পটু,কবি!
ধ্যাত বলে চলে যেতাম তোমার থেকে দূরে।
কারণ আমি কবি নয়, নয় কোনো সাহিত্যিক।
আমি তো প্রেমিক! তুমি বুঝেও বুঝতে না বলে)

-'এই তুমি কি এখনো আমায় চিনতে পারোনি।' ভুলে গেছো সত্যিই?
সম্মোহনের কাচ ভেঙ্গে একটু আহ্লাদী, অভিমানী কন্ঠে বললে তুমি।
হাসির ছলে বললাম, ভুলে যাওয়ার কথা উঠছে কেন?
সব কিছু কি ভুলা যায়?

উনি কে, তোমায় স্বামী বোধ করি?
-হ্যা!
বেশ কবিতা শুনাই, তাই না? নাকি এখন তোমার কবিতা শুনতে ভালো লাগে না?

(তুমি নীরব হয়ে গেলে,
যেমন নীরব তোমার হাসি।
যে নীরব হাসির গোপন সৌন্দর্য, আজ আমার কাছে অধরামৃত...)

চট্টগ্রাম, ২৯ মার্চ ২০১৮