পুতুল খেলার ছলে,
লতা-পাতা আর ঘাসের মিশ্রণে,
রেঁধেছি যে কত রান্না
৯/১০ বছর বয়সে।
বাবার অক্ষমতা আর মায়ের উদাসীনতা
আশ্রয় দিয়েছে ধনীর রঙিন কুঠিরে
আজ রাঁধতে হয়না লতা-পাতাতে
মাংস, পোলাও রাঁধি আধা-উপোসে।
বদ্ধ ঘরে ১১তে পড়েছে পা
কৃষ্ণকালো গড়নে বেড়েছে চাকচিক্য
কর্তার নজরে পরিবর্তন, বেড়েছে আদর
গিন্নির ছেঁকায় নানা অঙ্গ উঠেছে ফুঁসে।
ভয়-ভীতির দাপটে আদর চলে
গভীর রাতে, রান্নাঘর কিংবা মেঝেতে
ফুলে ফেঁপে কাঁদে দেহ আর্তনাদে,
ভূড়িটা বড্ড বেড়েছে এ ৪ মাসে।
গিন্নির দয়া আর কবিরাজের বদৌলতে
অভূক্ত ৭/৮ দিনে, কমেছে ভূরি রক্তপাতে
পরদিনই জায়গা হল ফুটপাতে,
পূর্ণ দেহ হল ১২ বছর বয়সে।
বাবা-মার অক্ষমতা করেছে ঝি,
গিন্নির ছেঁকায় অজস্র ক্ষত,
কর্তার সুনজরে পোয়াতি,
শেষ ঠিকানা আজ পতিতাবাসে।