বললে তুমি- লিখতে না আর, তোমার নামে কাব্য!
তা'ইলে আমি কাব্য কথায়, কাহার কথা ভাববো?
এই যে আমি কুষ্মান্ড এক- অকাব্যতার কবি!
যাহা কিছুই তুলে ধরি, সবই তোমার ছবি।

টিকলো নাকের বিমল ছবি, জ্যোতির্ময়ী চোখ!
আমিই হলেম পদব্রজী, তুমিই যে অশোক।
তোমার মাঝে রই লুকিয়ে শান্ত শীতল ছায়ায়,
যতোই দুরে দাও না ঠেলে, ততোই ডাকো মায়ায়।

ওমন নিঠুর হয়ো নাকো, কাব্য-রাণী তুমি!
তোমার ভেতর পুষে রাখি আমার গোঁয়ার্তুমি।
এক জনমে চাওয়া পাওয়া হয় না কভু শেষ,
তাইতো আমি রই তাকিয়ে হয়ে অনিমেষ।

আমার কাব্য- দুঃখ-গাঁথা সবই তোমার নামে,
কিনেছি তা রাতুল হাটে রক্ত-ঝরা ঘামে।
থাকো তুমি একলা ঘরে ঘুমিয়ে, আমার বঁধু!
অপলকে সারাটি রাত থাকবো চেয়ে শুধু।

হস্ত দিয়ে দেখবো নাকো মস্ত শরীরখানি!
থাকবো কাছে যতোই তুমি করো রাহাজানি।
তুমি আমার আসমানের চাঁন, সাগর বেলাভূমি,
রাত ও ভোরে তোমার পদে নিতি যাই যে চুমি।

ঘুমের দেশে ঘুমিয়ে থাকো বিমল বন্ধু, চাঁন!
হোক না আমার হৃদয়খানি বিচ্ছেদে খান খান।

১৫/০৮/২০১৩
মিরপুর, ঢাকা।