আকাশে তাকালে দেখি যে এখন একটি মুখচ্ছবি
চাঁদ হয়ে হাসে, তারা রূপে ভাসে
আবার সে ঝরে পৃথিবীর ঘাসে,
দীপ্ত বালিকা টেনে নিয়ে বুকে আমায় করেছে কবি;
এখন আকাশে সারাক্ষণ দেখি তাহার মুখচ্ছবি।
আমার দেহের অঙ্গে অঙ্গে তাহার পরশ মাখা,
পায়ের আঙুলে, চোখের তারায়
সাদা-কালো চুলে মায়া খেলে যায়,
চোখ খুলে দেখি সম্মুখে যেন অলকার সুধা রাখা;
অঙ্গে অঙ্গে অনুভূত হয় কোমল পরশ মাখা।
ক্লান্ত দেহের ভাঁজে ভাঁজে জাগে সুখময় এক স্মৃতি,
পুলক জাগায় বর্ষার মতো
শ্রাবণ ধারায় ঝরে অবিরত
নীরব প্রকৃতি উল্লাসে মেতে গেয়ে উঠে শত গীতি;
অন্ধকারের অরুন্ধতী সে, প্রাণময় এক স্মৃতি।
এমন মহিমা যুগে যুগে এসে আলোকিত করে ধরা,
ফুলে ও ফসলে ভরায় ধরণী
উজানের পথে ভাসায় তরণী,
প্রেমে ও আদরে সজীবতা দিয়ে জাগায় সকল মরা;
গহীন আঁধারে দীপশিখা জ্বেলে আলোকিত করে ধরা।
কে তুমি প্রিয়তি! মর্ত্যে এসেছো অমর্ত্য রূপভার!
চিরদুখি-প্রাণে আশা জাগানিয়া
সুখ দিয়ে যাও দুঃখ কাড়িয়া,
মরা গাঙে আনো নবীন জলের স্রোতধারা তোলপাড়;
চাঁদের রোশনী গলে গলে ঝরে অমর্ত্য রূপভার।
১৬/০৩/২০১৯
মিরপুর, ঢাকা।