প্রার্থনার ভঙ্গিতে দুই হাঁটু গেড়ে চেয়েছিলেম আমি-
আকরিত ভালোবাসার একটি নীল গোলাপ;
মনস্তাপ প্রলম্বিত হয় বিকেলের ছায়ার মতো ক্রমশঃ-
দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর, তুমি করুণা করোনি আমায়।
জানালার শার্সিতে পড়ন্ত রোদের ছোঁয়ায়
দগদগে ঘায়ের মতো আমার হৃদয়ে জন্মে ক্ষত,
বান্ধব, ছুঁড়ে দাওনি একটি পাপড়িও অবহেলায়।
আগ্নেয়গিরির তাপে ফুটন্ত সাগরের জলে এই আমি
সাঁতার কেটেছি অবিরাম দুঃসহ যন্ত্রনা লয়ে;
শীতল জল হয়ে এসোনি তুমি নদী-রূপ-নারী।
আমার আকাশে চাঁদ উঠবে না জেনেও, তবুও,
প্রত্যহ হৃদয় ঘসি চকমকি পাথরের ন্যায় নিরন্তর;
যদি হঠাৎ জ্বলে ওঠে ক্ষাণিকটা অনল শিখা।
তখন, দাবানল হয়ে পোড়াবো এই সংসার,
তীব্রানলের আঘাতে আঘাতে ভেঙ্গে দেবো অহংকার;
জলোচ্ছ্বাসের ধারায় ভাসাবো মর্ত্যলোকের সব-
মরুর বুকেতে শ্যামলীমা এনে করে যাবো উৎসব।
তারপর, মৃতদের সাথে নিয়তই হবে কলরব।