নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু বলেছিলেন, 'আমরা যখন যুদ্ধে যাবো, তখন নজরুলের গান গাইবো। যখন জেলে থাকবো, তখনো নজরুলের গান গাইবো। গলা ফাটিয়ে তার কবিতা আবৃত্তি করবো।'
------------------------------------------------------------------------
যৌবন যখন আছড়ে পড়ে আলোকিত করে চতুর্দিক,
ভালোবাসা এসে প্রাণেতে প্রাণেতে ছড়িয়ে পড়ে যে দিগ্বিদিক।
মুঠি মুঠি করে শেফালিকা লয়ে সামনে দাঁড়াই প্রিয়তমার,
অজানিত ভয় স্তব্ধকণ্ঠে কেঁপে উঠে নীল বীণার তার।
লাখো বছরের বিরহী হৃদয় সামনে দাঁড়ায় হয়ে ব্যকুল,
ঝাকড়া চুলের বিদ্রোহী কবি ঘোর প্রেমময়, সেই নজরুল।
শকুনীর যখন লোভের মোহেতে খাবলে ধরবে দেশের বুক,
দেশ মাতারই মুক্তির তরে বলবো এবার- 'যুদ্ধ হোক'।
লড়াইয়ের মাঠে যাই এগিয়ে অস্ত্র-বারুদে হয়ে বলিয়ান,
শত্রু হননে প্রাণ বাজি ধরি', প্রাণোচ্ছ্বলে হই আগুয়ান।
দামামা বাজায়ে বজ্র-শব্দে ছড়িয়ে দেয় সে শ্বেত-বকুল,
অগ্রসৈনিক সামনে দাঁড়ায় অকুতোভয় এক নজরুল।
সত্যবাদীরা অত্যাচারী-শাসককুলের চক্ষু শূল,
অন্ধকারাতে বন্দী হয় সে হৃদয় যদিবা হয় ব্যকুল।
ক্রুর শাসকের লোহার শিকল ভেঙ্গে দেবার মনের জোর,
ঝংকার তুলে জাগেরে প্রাণেতে সুর-সংগীত শব্দ তোড়।
কোরাস কণ্ঠে উঠবে গেয়েই চঞ্চলা ঐ প্রাণ-বুলবুল
স্থবির প্রাণেতে সুর তুলবেই চির ভাস্বর কাজী নজরুল।
২৫/০৫/২০১৬
১১ জ্যৈষ্ঠ, ১৪২৩
মিরপুর, ঢাকা।