সুতনুকা! তুমি কৃষ্ণচূড়ার নিচে ঝরে যাওয়া এক তাজা প্রাণ!
বড়ো অচেনা তুমি স্বপ্ন-লোকের মানস কন্যা।
বর্ণহীন এ জীবনে তোমার প্রথম স্পর্শ
ভোরের সূর্যোদয়ের মতো স্বর্গীয় ভালোবাসার অমৃতের স্বাদ,
আজো আছো এক মুঠো ভালোবাসার উষ্ণতা নিয়ে চেতনবিদ্ধতায়।
নতুন পৃথিবী সুন্দর করে গড়ার স্বপ্ন,
গোপন প্রেমের উন্মাতাল সঙ্গমের চাওয়া-পাওয়া নয়।
আজ তোমাকে বড়ো প্রয়োজন, সুতনুকা!
তাই, হোক মন-সুখের দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান।
এক আকাশ সূর্যালোক নিয়ে মেঘনা নদীর তীরে যদি ফিরে এসো,
আকাশ ছোঁয়ার স্বপ্ন নিয়ে ভালোবাসার জ্যোৎস্না পান করে যাবো,
মেঘ-বালিকার খোঁজে অকাল শ্রাবণ নামাবো ধূসর পৃথিবীতে।
রক্তাক্ত ক্যানভাসে এঁকে যাবো জীবনের চারুপাট,
এবং আমার পুঞ্জিভূত অভিমান
তুলে দেবো শ্রাবণ সন্ধ্যার বিপন্ন শঙ্খচিলের ডানায়।
সুতনুকা, আজ তুমি কোথায় আছো?
তুমি তো জানো, কবিতা কি এবং কেনো লিখি?
ভালোবাসার অন্য নাম যদি নিসঙ্গতা হয়;
তবে, হে চন্দ্রাহত ভালোবাসা!
জ্যোৎস্না মাখা রাতে নির্বান্ধব পড়ে থাকো নীলকণ্ঠ কৌতূহলে।
সুতনুকা! তুমি কি জানো ভালোবাসা কোথায় থাকে?
অসমাপ্ত কবিতার মতো ফাল্গুনী ভালোবাসা!
অচিনপুরের যাত্রী আমি স্বীকারোক্তি রেখে যাই এইখানে-
প্রেম ও পাপ এক সাথে গেঁথে ভালোবাসার কিছু কথা,
রক্তের অক্ষরে লেখা কবিতা- শব্দের মিছিল নিয়ে
একদিন আসবো তোমার সম্মুখে;
মেঘ আর রোদ্দুরের স্নান সমাপনে।
হয়তো, তখন কোন এক সন্ধ্যায়, বারান্দাতে বসে ভাববে
জীবন-মৃত্যুর কথা, কোন এক ঝিল্লিমূখর বর্ষার দিনে।
তখন এক মুঠো রক্তকরবী
আর ঝুম বৃষ্টিতে ভেজা অজস্র কদম্ব নিয়ে
তোমার দৃষ্টির সম্মুখে আবার আসবো ফিরে;
দূরত্বের সীমারেখা ছিন্ন করে উচ্চারণ করে যাবো-
'এইতো আমি।'
২৬/১১/২০১৪।
মিরপুর, ঢাকা।