দুঃখের নদী বয় নিরবধি নৌকা ভাসাই তাতে-
কে কে যাবি আয়! দূরে দেখা যায় আলোর প্রদীপ, রাতে।
ভালোবাসা নামে বৃষ্টি-ধারায় ঝড়ের পবন সনে,
অতীতের গান বাঁশুরীর সুর পড়ছে আজিকে মনে।
শাপলার বনে হাসি-কৌতুকে কিশোর কিশোরী প্রাণ,
শালুক তুলছে কিশোর বন্ধু খুশিতে সে আটখান।
কিশোরী চিবোয় শাপলার ডাঁটা কিশোর চাহিয়া রয়,
সারা জগতের আনন্দ ধারা ঝরে পড়ে বিস্ময়!
আগুনের মতো সূর্যের তাপে পুড়ে গেলে মুখখানি,
পরম সোহাগে আদর বোলাতো অঞ্চলখানি টানি।
দূরের দেশের বধুয়া এখন ঘোলাটে তাহার চোখ,
কাব্য কথায় যায় নাতো আঁকা মরমের সেই শোক।
কিশোর কাব্য দুঃখ আনিছে মনের গহীন তলে,
অতীতের সব সুখ-স্মৃতি-গুলো পিলসুজ হয়ে জ্বলে।
বুক ভেঙে যায় করুণ গাঁথায় বাঁশিতে বিদায় সুর
শোকের মাতমে উথাল পাথাল বুকের সমুদ্দুর।
হায়রে অতীত! গোপনে গোপনে দুঃখ রচিয়া যাও,
দুঃখ মখিয়া পরানের তলে কিবা সুখ তুমি পাও?