খোলস ছাড়িয়া বাহিরেতে এসো, দেখবে অনেক আলো,
আঁধারের মাঝে সত্য আনিয়া প্রদীপখানিরে জ্বালো।
গোমরাহী যতো হৃদয়ে তোমার ঝেড়ে ফেলো সব আজ,
বিমল-চেতনে সুন্দরতায় তুলে আনো কারুকাজ।
কবি প্রাণ কাঁদে ভীষণ বিষাদে তোমারি লাগিয়া, ওয়ি!
তুমি ছিলে তাজ! হয়ে গেলে আজ চতুর ছলনাময়ী!
ভেবেছিলো কবি চন্দ্রিমা তুমি ছড়াবে শুধুই আলো,
হরষে বিষাদে তাড়াইয়ে দিবে মরমের সব কালো।
ভৈরবী জ্ঞানে রেখে অন্তরে তুলিয়াছে কতো সুর,
সুরের ভেতরে অসুরেরা আসি নাচায় সমুদ্দুর।
দুই চোখে আজ নোনা জল ঝরে, তবুও যাচেনা প্রেম,
হারায়ে গিয়েছে সাগরের পাড়ে মদিরাদায়িনী শ্যাম!
সুখের দেশেতে থাকো তুমি শুয়ে কাজল রাণীর মতো,
কামনা করিছে তোমারই সুখ অবিরাম অবিরত।
কবি জীবনের কথা-চন্দন শেষ হবে একদিন,
সেদিনও তুমি সুন্দরতায় হৃদে রবে অমলিন।