ছন্দখেলা অন্ধভাবে কাব্যকথায় চলে না। ছন্দবিহীন কথাকলি কেউ কেউ যে, কবিতাও বলে না। কাব্যকথার সাথে ভাবে, অভিঘাতে ছন্দেরা যে মিশে রয়; কাব্যবোধ্যা জ্ঞানী-গুণী অকপটে তাইতো কয়। তাই, এসো আজ এইখানেতে বসো, ভাবো কিছুক্ষণ; মনের কথা, ব্যাকুলতা ছন্দকথার আবরণে করতে হবে বর্ণন। ভালোবাসা হচ্ছে সকল কবিতারই প্রথম সোপান পদক্ষেপ। যে সব কথা হৃদয় মাঝে উচ্ছলতা বয়ে আনে কবিতারই সার সংক্ষেপ। কিন্তু, প্রকাশ যায় না করা শব্দ- সুরে বুননে; তা-ইতো প্রথম প্রকাশিত, কাব্যকথার উচ্চারণে। আজকে খেলা হবে খেলা, কবিতারই মজার খেলা! এইখানেতে, এই আসরে কবি আছেন ম্যালা। স্বরবৃত্ত ছড়ার ছন্দ; লাগে না যে পড়তে মন্দ, সে তো বড়ো হয় তালময়। ভালোবাসার কথাগুলো, দুঃখবোধের ব্যথাগুলো স্বরবৃত্ত ছন্দ দোলায়, এসো, আজকে এইখানে দেই তুলে। প্রেমের ছন্দে ছন্দে, এসো মাতি, সৃষ্টির আনন্দে। খুব বেশি তা' বড়ো নয়, মাত্র যে চার লাইন; মনে রেখো, ছন্দ ছাড়া লিখো যদি, বন্ধু তোমায় নিতে হবে সাজাটুকু; দিতে হবে 'ফাইন'!
''স্বরবৃত্ত ছন্দ (দলবৃত্ত/ছড়ার ছন্দ/শ্বাসাঘাতপ্রধান ছন্দ) বাংলা সাহিত্যে প্রচলিত প্রধান তিনটি ছন্দের একটি। অন্য দুটি হলো অক্ষরবৃত্ত ছন্দ এবং মাত্রাবৃত্ত ছন্দ।, স্বরবৃত্ত ছন্দে লেখা কবিতাগুলো বেশিরভাগ ক্ষেত্রে চার মাত্রার চালে চলতে পছন্দ করে''।
উদাহরণ,
''মাথার উপর ডাকলাে পেঁচা চমকে উঠি, আরে!
আধখানা চাঁদ আটকে আছে টেলিগ্রাফের তারে''।
চাঁদের দিকে তাকিয়ে দেখি, ঐখানে এক বুড়ি,
নিজের তৈরী সুতো দিয়ে ওড়ায় হীরার ঘুড়ি।
---------------------------------------
সর্বকথার শেষ কথাটি নাও জেনে নাও কবি,
চার চরণে আঁকতে হবে ভালোবাসার ছবি।
ছন্দ-নিয়ম থাকতে হবে স্বরবৃত্ত ধারা,
যারা জানেন ছন্দ নিয়ম, এবার লিখুন তারা।