বিদ্যুজ্জিহ্বা তুমি! সত্য ও সুন্দরের কথা বলে-
কী অবলীলায় আবিষ্ট করলে অন্তর আমার!
কাঁটাল নদীতে ঝাঁপ দিয়েছি নিশানা করে
তোমার মূরতি; ভেঙ্গে ফেলে সকল অহংকার।
তুমি কি বলোনি, শেষ অবধি থাকবে এ মর্ত্যে
সীতার মতোন মিতা হয়ে এই রামের বুকে?
তুমি কি বলোনি, সত্য ও সুন্দরের প্রভায়
উদ্ভাসিত করবে জীবনকে সুখে এবং দুখে?
প্রতীতির ঘরে নীল আলো জ্বেলে বলেছিলে তুমি-
অহংকারী ভালোবাসা ছড়িয়ে দিবে চারিদিকে,
হাতে রেখে হাত চলে যাবে গ্রহান্তরের ভীড়ে,
তবে আজ কেনো সব আলো হয়ে গেলো ফিকে?
চলে যাবে? যাও! মনস্তাপ বাড়াবো না আর!
ক্রমেই সঞ্চিত হয়েছিলো যে সকল প্রেমের আরক,
সব আজ ঢেলে দিলেম মরুভূঁয়ের বালু কণায়;
দুঃখবোধের সরলতার বৃক্ষ হবে- স্মৃতির স্মারক।
এই নাও শেষ চিহ্ন- দুঃখ গাঁথার একটি গোলাপ কলি,
করুণায় রেখো যেয়ো তুমি, তোমার নামের নামাবলি।