আর কতোকাল কাঁদবে তুমি নষ্টজনের ঘোর পরশে?
রূপের বাহার বাণীর হবার দাসী থাকো ভয় তড়াসে।
পড়শীরা সব আড় চোখে চায় লোভাতুরের চোখ মেলে,
নষ্ট তোমায় করতে চায় মা মিষ্টি কথার ঘোর ছলে।
তোমার বুকের দুগ্ধ পিয়ে যে জন ভুলে ঋণ তোমার,
ইচ্ছে করে লাত্থি মেরে ভেঙ্গে ফেলি তারই হাড়।
তোমার নামে কসম কাটি,
স্পর্শ করে শ্যামল মাটি;
যুদ্ধে আবার যাবে মাগো শপথ করে মন শতদল,
মায়ের মুখে কলঙ্ক দাগ সন্তানে কি চায় মা বল!
বারে বারে ফিরে আসি, খুন হয়ে যাই, পড়ি ফাঁসি,
বুলেট ঘায়ে ঝাঝরা হয়ে মরে গিয়ে আবার আসি।
ষোল কোটি সন্তানে মা চায় না তোমায় দেখতে দাসী,
তোমার নামে যুদ্ধ করে না হয় আবার পড়বো ফাঁসি।
ক্ষুদিরামের অভীক হৃদয়, সূর্যসেনের রক্ত ঝরে,
সুভাষচন্দ্র আসছে ফিরে মুজিব হয়ে তোমার ঘরে।
আমি না হয় অন‌্য নামে এলেম তোমার আঁচল তলে,
যুদ্ধ নেশায় রক্ত নাচে, করতে হত্যা অসুর দলে।
রুদ্ধ ঘরের  আগল খুলে ইচ্ছেগুলো আকাশ পানে
দাও ছড়িয়ে ঝঞ্ঝাবাতের তীব্র দহন গানে গানে।
দ্রোহ আমার সত্যালোকের লক্ষ্যমূখী, যুবক প্রাণ!
সত্য ন্যায়ের দর্প নিয়ে বীর কদমে আগুয়ান।

মিরপুর, ঢাকা।
২৭/১১/২০১৩।