আলো আর ছায়া খেলিছে দু'ধারে পৃথিবীর পথ মাঝে,
তুমি তো সূর্য, অনাবিল আলো ছড়াও জীবন সাঁঝে।
তোমাকে রেখেছি হৃদয়ের তলে উষ্ণ প্রলেপ দিয়ে,
ভালোবেসে গড়ি নিপুণ হস্তে তোমার মূরতি প্রিয়ে।
স্বর্গালোকের মাধুরী লইয়া খেলেছি কতোই খেলা,
পার্থিবতার মলিনতা লয়ে' কাটায়েছি শত বেলা।
কেনো এতোদিন পরে-
মানুষের মন এলোমেলো হয় ঝঞ্ঝাবাতের ঝড়ে?
যতই বলেছো- অন্ধ হইতে মাটির মতোন স্থির,
কামনা বাসনা ঝারিয়া মুছিয়া হইতে সুস্থ ধীর;
ততোই বেড়েছে গোপনে গোপনে লালসার হুতাশন,
বেড়ে গেছে আরো তীব্রতা নিয়ে পাশবিকতার মন।
যেমন করিয়া চৈত্রের ভূমি চেয়ে যায় মেঘ-জল,
তেমন করিয়া চেয়েছি আমরা তোমায় অনর্গল।
পাইনিকো অন্তরে,
শূন্য মুরালী রহিয়া রহিয়া কাঁদিছে বেদন সুরে।
স্বস্তি বিহনে কে চায় বাঁচিতে ধুলির মর্ত্যলোকে?
রক্ত-আগুন করে হাহাকার, ভীত সন্ত্রস্ত শোকে।
তুমি আমাদের আঁধার রাতের ধ্রুব তারকার আলো,
নিশানা দেখাও সঠিক পথের ন্যায়ের প্রদীপ জ্বালো।
ধর্মের নামে চারিদিকে আজ চলিছে মরণ খেলা,
বক ধার্মিকে হয়েছে আজিকে শয়তানেরই চ্যালা।
আলামীন হযরত!
মদিনা হইতে দেখাও মানুষে সত্যের শুভ পথ।
০৯/০৭/২০১৬
মিরপুর, ঢাকা।