উদোম আকাশ চিৎ হয়ে শুয়ে আঁধার নিশীথ রাতে
ডাকছে আমায়, ওহে কবি এসো, জেগে রই একসাথে।
বটবৃক্ষের স্নিগ্ধতা নিয়ে নীল সাগরের পাড়ে
বসে আছে দেখো তোমার প্রিয়তি নির্জনে, চুপিসারে।
কাব্য লেখার এইতো সময়- মাহেন্দ্রক্ষণ, কবি,
হৃদয়-খাতায় এঁকে যাও তুমি শিশিরজলের ছবি।
দাবদাহ যতো মনের ভেতরে জলবতী নদী হবে,
আশাবরী রাগে প্রেমের গীতিকা জাগবে যে উৎসবে।
ঝংকৃত হবে জোছনা-ধৌত মাটির ঘ্রাণের সাথে,
ভেসে যাবে সব দুঃখ-বেদনা, যা জমেছে সম্পাতে।

সে ভয়ংকর নিশিডাক শুনে, বরফের মত গলে
ঘর সংসার করে পরিহার দ্রুতবেগে যাই চলে।
হেমন্ত-সুখ, শারদ-আমোদ, বসন্ত-রাগ ছেড়ে
ছুটে চলি একা শীতের নিশিতে বর্ষার হাত ধরে।
এখন শুনছি করুণ রাগিনী, গ্রীষ্মের হাহাকার!
কালবোশেখের উন্মাদনায় সব কিছু চুরমার।
সোনায় মোড়ানো হেমন্ত-ক্ষেতে সমুদ্র-গর্জন!
পিছে ফিরে দেখি নেই কিছু আর; যতোটুকু অর্জন
করেছিলাম এ ধরণীর বুকে, ডোবায়-নালায়-পাঁকে;
পেঁজাতুলো মেঘ হয়ে ভেসে যায় আকাশের নিশিডাকে।

২১/০৪/২০২৫
ঢাকা।