সম্রাটের ইশারায় সারা রাজ্য জুড়ে চলে
          এলোমেলোভাবে, শত সন্ত্রাসীর কায়কারবার-
লুটপাট রাহাজানি খুনোখুনি আর অত্যাচার।
নিজের স্বার্থের টানে তবুও নিশ্চুপ, থাকে
          নির্বিকার; এমনতর আজব এক সম্রাট!
গণিকার কৌতূহলভরা চোখে চারিদিকে চেয়ে থাকে;
          যতো দেখি, ততো হই আচানক! বাড়ে বিভ্রাট।
সমুদ্রের বালুতীরে আত্মক্রীড়া শেষ করে
          নেমে এসো জনতার জলে,
বিস্ময়ভরা নয়নে মাছিদের মতো ভিতু জনগণ
          তোমার এ খেলা দেখে শত বিস্ময়ের কৌতুহলে।
উচ্ছিন্ন সময় শেষে ক্ষতবিক্ষত প্রাণের মানুষেরা
          সারিবদ্ধভাবে নতজানু হয়ে প্রার্থনা জানায়-
হে সম্রাট! খেয়ালি-হেঁয়ালি ছেড়ে চলে এসো
          ধূলি ধূসরিত এই মানুষের মাটির ধরায়।
সত্য অনুভব করো, বিষাক্ত সাপের মত ফোঁসফোঁস করে
মানুষের ভবিষ্যৎ নষ্ট করতে পারো না অবহেলা ভরে।
দূর নীলিমার পাড়ে অন্ধকারে ওই সূর্যও হারিয়ে যায়
প্রবল বায়ুর তোড়ে ছুটে আসা মেঘের ঝঞ্ঝায়।
রক্তপিপাসু হাজার চেঙ্গিস-হালাকু,
          কালেরে অতলে তারা গিয়েছে হারিয়ে,
প্রকৃতির এই শিক্ষা চিরন্তন বুঝে গেছি দিব্যজ্ঞান দিয়ে।
মানুষের স্বাভাবিক জীবনের অবস্থান চিরদিন রয় না;
ধৈঞ্চা গাছ যতো দীর্ঘতর হোক,  
          মনে রেখো, কখনো তা বটবৃক্ষ হয় না।

০৯/০৪/২০২৫
ঢাকা।