তুমি যেন এক জলবতী নদী, প্রিয়,
ছুঁইতে গেলেই হয়ে যাও মরুভূমি।
সাত সমুদ্রের জল গ্রাস করে নিয়ে
খেয়ালী হৃদয়ে সৃষ্টি করো মরুদ্যান।
নীল নক্ষত্রের জল সাঁতরায়ে এসে
অগ্নিগিরির চূড়ায় উঁকি দিয়ে রও
সেই অভিমান নিয়ে আগেকার তুমি!
তুমি আজ এক মরিচীকা, মরুভূমি।

একদা বলেছিলেম শান্ত কণ্ঠস্বরে-
রৌদ্রের পুষ্পস্তবক দেবো, কড়কড়ে
শীতার্ত নিশিতে। স্নিগ্ধ বাতাসের মল
সযতনে বেঁধে দেবো নিটোল চরণে।
অথচ, কী নিদারুণ! প্রহসন খেলা
খেলে যাও নিশিদিন; পরান জুড়ানো
ভালোবাসা ভরে রাখো শীতল শিশিতে;
ভালোবাসা ওম চায় শীতার্ত নিশিতে।

হে বন বালিকা! ফিরে এসো এইবার,
শাপলার বনে শিশিরের ঢেউ জাগে;
তারার উজ্জ্বল টিপ কপালের ভাঁজে
পরাবো তোমায় আজ আদরে-সোহাগে।
শরবনের বিকেল তুলে দেবো আজ
নীল চোখের আলোয়, পরম সম্ভ্রমে।
অশ্রুতে ধুইয়ে নেবো পরাহত লাজ;
ফিরে এসো, ফিরে এসো, ফিরে এসো আজ।

১৫/০৪/২০২৫
ঢাকা।