হে রাজন! এই ফ্রাঙ্কেনস্টাইন গড়েছো নির্জন রঙে
অতীব পরিকল্পিত অশুভ শক্তির কৌতূহলে,
তা ক্রমশঃ বৃদ্ধি পাবে, একদিন হবে আরো শক্তিশালী;
তারা সচেতনভাবে তোমাকে ডোবাবে জলে।
কুলহীন সাগরের উত্তাল ঊর্মিমালায় ডুবে যাবে,
কিনারা পাবে না আর বাঁচিবার তরে।
নিঃসীম অতল ঘন অন্ধকারে অবহেলা অপমানে
অনন্তকালের জন্য রবে একা পড়ে।
মাথার উপরে চন্দ্র যতোই আলো ছড়াক সুনির্মল,
সূর্যের অবর্তমানে ম্রিয়মাণ অনুজ্জ্বল সত্তা;
কালের পরিক্রমায় দীর্ঘদিন পাঠচক্রে জেনে গেছি
প্রকৃতির নিয়মের এই সারবত্তা।
তুমি স্বনির্বন্ধতায় নেমে এসো নিষ্ঠুর আমোদ সাঙ্গ করে;
নচেৎ, বুমেরাং হয়ে সেই ফ্রাঙ্কেনস্টাইন
তোমাকেও বধিবে যে কৌতূহলভরে।
পৃথিবীর আলোর ভিতরে জ্বলে অফুরন্ত সূর্যের রৌশনি,
মাটির সুরের গানে সমস্ত পৃথিবী জুড়ে
আজ তার আবাহন শুনি।
ঘুমন্তেরা জেগে উঠে পরাক্রমে যখন দাঁড়াবে দৃঢ়তায়,
তছনছ করে দেবে পরগাছা যতো ওই বৃক্ষের মাথায়।
এ দানব রুখে দাও, অশুভ ছায়ার শক্তি অর্জনের আগে,
মানুষের পৃথিবীতে মানুষেরা বেঁচে থাক প্রেম-অনুরাগে।
১১/০৪/২০২৫
পানতুই রিসোর্ট, সাজেক, বাঘাইছড়ি, খাগড়াছড়ি।।