লাগছে আগুন আকাশ-পাতাল জীবন হুলস্থূল!
সেই আগুনে জ্বলেছিলো বটবৃক্ষের মূল।
সবুজ মাঠে রঙ ফলানো পারিজাতের ফুল,
ছড়িয়ে পড়ে ধরার মাঝে নেইকো যে তার তুল।
সে-ই বলেছে স্নিগ্ধ-কোমল ডাগর চোখে হেসে,
ঘরের মায়া ছিন্ন করে আমায় ভালোবেসে।

আমি নাকি তাঁর জীবনে রবীন্দ্রনাথ কবি,
ভালোবাসার অক্ষরে তাই আঁকি তারই ছবি।
রাতের শেষের আলোকধারার লাল প্রভাতের রবি,
ধূলির ধরার ভালোবাসা, জীবন-মরণ সবই।
ওকাম্পো সে, মন হরষে ছুটে আসে শেষে,
দুহাত তুলে জড়িয়ে ধরি তাঁকে ভালোবেসে।

যতো দেখি, ততোই লিখি তারই মনের গান,
উদাস হয়ে পাখির সুরে গাঁথি অফুরান।
ভোরের বেলায় শুরু করি সারাদিনমান
তাঁরই রূপের জ্যোতি ছড়াই, হয় না অবসান।
তপ্ত দুপুর, অলস বিকেল দিনের অবশেষে,
তাকে নিয়েই ভাবি আমি গভীর ভালোবেসে।

নাম দিয়েছি- অরূপ সাগর মরুভূমির বুকে,
ঊর্মিছটায় দোল খেয়ে যায় কলমিলতার সুখে।
কোমল হাসির ঝর্ণা তুলে দাঁড়া'লে সম্মুখে,
পারিজাতের হুর-পরীরা নাচে স্বর্গলোকে।
দিনের শেষে গহন রাতে থাকে শরীর ঘেঁষে,
রাতের চন্দ্র ওঠে তখন খলখলিলে হেসে।

ভাটির দেশের মাঝি আমি উজানে যাই বেয়ে,
ছিন্ন পালের জীর্ণ তরী, সভয়ে রই চেয়ে।
তখন দূরের পথিক এসে বলে, 'ওগো নেয়ে!
উজান পথে চলছো তুমি কতো শক্তি পেয়ে?
কালের স্রোতে ডুবলে তরী যাবেই তুমি ভেসে',
বলি তখন, 'তা-ও ভালো মরবো ভালোবেসে'।

০১/০৪/২০২৫
ঢাকা।