অপেক্ষায় আছি আমি এবং আমরা, বেঁচে থাকো তুমি দীর্ঘ দীর্ঘদিন; যে আক্রোশে ভেঙেছো মহান বত্রিশের আচানক বাড়ি। দেখা হবে পরস্পর, কোন একদিন পৃথিবীর কোন এক প্রান্তে। অথবা তোমাকে খুঁজে বের করে নেবো তন্নতন্ন করে পৃথিবীর যেখানেই লুকিয়ে থাকো না কেনো। দুর্বৃত্তের সৈনিকেরা কাপুরুষের দুর্ভোগ উপভোগ করে, প্রকৃতির অমোঘ নিয়ম। জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু শুনলেই যাদের শরীরে জ্বালা বাড়ে- পাকিস্তানি বীজ তারা; ধিক্কার জানাই টিক্কার সন্তানরূপজ্ঞানে। বঙ্গবন্ধু মুজিবের বাসস্থান, মুক্তিযুদ্ধ, একাত্তর, বাংলাদেশ মিমাংসিত সত্যের প্রত্যয়; আর বত্রিশ নম্বর রোড জাগরূক মানুষের তীর্থস্থান! এই অবিসংবাদিত বাড়ি চিরদিন বেঁচে রবে বাঙালির হৃদয়ের অতল গহীনে। তাকে চিরতরে ধ্বংস করার ক্ষমতা নেই তোমাদের। হাতুড়ি-বুলডোজার, আগুনের লেলিহান শিখা উস্কে দিয়ে ধ্বংস করা কখনো যাবে না তারে। হে আমার চিরশত্রু, পাকিস্তানি বীজ, জন্মান্তের আসুরিক চেতনার রাজাকার! দুষ্কর্মের প্রতিফল সন্নিকটে, সত্যের নিশ্চিত বিজয় অবশ্যম্ভাবী। এবার প্রস্তুত হও।
আবার প্রস্তুত হও অন্যায়ের প্রতিবাদে, সত্যনিষ্ঠ তেজস্বী বলিষ্ঠ সুপুরুষ! তুমিতো ফিনিক্স পাখি! যতোবার অকাল মরণ হবে, ততোবার অমর জীবন নিয়ে আবার উঠবে জেগে বিজয়ের আনন্দ-উৎসবে। তোমার বিশ্রাম নেই, ক্লান্তি নেই; জীবনের শত মঙ্গলের পথে অবিরাম যাত্রা হোক শুরু ।
২৯/০৩/২০২৫
ঢাকা।