সুমহান একাত্তরে আমার বয়স ছিলো তের।
যুদ্ধক্ষেত্রে মুক্তিযোদ্ধা সৈনিকের মরণ দেখেছি,
বুলেটবিদ্ধ-মৃত্যুর পূর্বমুহূর্তের ক্ষণে চিৎকার শুনেছি,
যেন এক অরণ্যের গহীন শরীর থেকে উঠে আসা,
সমুদ্রের তীব্র-তীক্ষ্ণ তরঙ্গায়িত গর্জন ভেঙ্গে ছুটে আসা-
ধন্বন্তরী জীবনের চিন্ময় স্লোগান- জয় বাংলা!
পরাজিত পাকিস্তানি সৈনিকের মরণ দেখেছি,
মৃত্যুর পূর্বমুহূর্তে অর্থহীন শব্দের গোঙ্গানি-
শাসকের নাম নয়, নয় তার সন্তানের অথবা দেশের;
কিছুই ছিলো না তার চোখে-মুখে, চেহারার মাঝে,
শুনেছি ভয়ার্ত কন্ঠে বাঁচার আকুতি।
আমিতো মুক্তিযোদ্ধার উত্তম উত্তরসূরী এই বাংলাদেশে,
স্পন্দিত রক্তের মাঝে তাঁদের উত্তপ্ত স্পর্শ অনুভব করি,
চরম উদ্দীপ্ত হই; দেশমাতৃকার প্রয়োজনে
ঠিক তাঁদের মতোন যুদ্ধের ময়দানে মৃত্যু আগে বলে যাবো-
হৃদয়োত্থিত সে গান, সেই প্রাণের স্লোগান- জয় বাংলা।
আজ সেই স্লোগানের বুলন্দ ঝংকার শুনে, ভয় কেন তোর?
২৬/০৩/২০২৫
ঢাকা।