শুকরিয়া শুকরিয়া শুকরিয়া, ওগো বিশ্বপিতা!
অনেক বসন্ত-শীত, গ্রীষ্ম-বর্ষা, শরৎ-হেমন্ত
দেখায়েছো। ভুবনের প্রেমময় মানুষের জন্য,
এই অবারিত মানুষের সাথে বাঁচিয়ে রেখেছো;
এ আমার অহমিকা। শুকরিয়া, ওগো বিশ্বপিতা।
জীবনের পলে পলে শব্দহীন চুপিসারে এসে,
অগণ্য করুণা মেখে অয়োময় জগত-সংসারে
জড়ায়ে ধরেছো নিত্য গহীন গোপনে ভালোবেসে।
বিপ্রতীপ মরুপথে সুদূরে হারিয়ে যেতে যেতে
হারাইনি; হারাতে দাওনি কভু; হে মহান প্রভু!
যতোবার ভুলে গেছি নেশাগ্রস্ত মোহান্ধের মতো;
ততোবার তুমি এসে করুণার কোমল দেয়ালে
রেখেছো আমারে ঘিরে। নিরাপদ অন্তহীন পথে
টেনে নিয়ে গেলে, ক্ষমা করে আপনার মহিমায়।
এই জীবন বেঁধেছো পুষ্পকোড়কের মধ্যিখানে;
শুকরিয়া শুকরিয়া শেষ বিকেলের এই সাঁঝে।
আমি যখন ছিলাম সুপ্তপ্রায় পিতার মগজে,
এনে দিলে মায়ের গর্ভের ফুলে, কতো না সহজে!
অশক্ত দুর্বল কালে রেখেছো আমায় মমতায়,
যৌবনের রূঢ় পথে ভিজিয়ে রেখেছ করুণায়;
আজও আছি ধরণীর 'পরে সুস্থ সাবলীলভাবে।
সেই বিস্ময়ের কথা মর্ত্যলোকে ভুলিবো কিভাবে?
মর্ত্যলোকে অমর্ত্যের মধুস্বাদ দিয়েছো আমায়;
এমন কঠিন সত্য আমি যেন ভুলে নাহি যাই;
তেমন শকতি দিও নিরন্তর পরাণে; হে ত্রাতা!
শুকরিয়া শুকরিয়া শুকরিয়া, ওগো বিশ্বপিতা!
১৩/০৩/২০২৫
ঢাকা।