তোমার প্রেমের মাধুরীসমূহ সঞ্চয় করি অমল প্রাণে।
বেজে ওঠে শত ছন্দে ও সুরে প্রভাত বেলার মোহন গানে।
অরূপধারার কথা-কাকলীতে
মূর্ত হয় তা' বিষাদিত চিতে;
প্রহ্লাদ জাগে শ্যামল বৃক্ষে দুলে ওঠে তার শাখা-পত্র।
অঝর স্মৃতির মধুরিমা নিয়ে কবির মননে জাগে ছত্র।
তৃপ্ত হৃদয় দীপ্ত চরণে সাজায় কবিতা- অমর সুধা।
উল্লাসে জাগে খুব অনুরাগে মিটিয়ে দেয় সে অশেষ ক্ষুধা।
কৃতজ্ঞ মনে করি প্রণিপাত,
ভুলে গিয়ে সব অভিসম্পাত;
বারেবারে চাই অসীম মায়ায় জড়াও আমারে শিশুর মতো।
কাছে কাছে রাখো সারা দিনমান সরস মানসে নিতি-সতত।
চাঁদ ডুবে গেলে আঁধার নিশিতে জড়াজড়ি করে র'বো দু'জনে।
আঁধারের রূপ অপরূপ হয়ে উজ্জ্বল হবে দোঁহের মনে।
লক্ষ লক্ষ তারার মেলায়
ভেসে যাবো দোঁহে জীবন খেলায়;
ঊষরমরুতে ফুটবে তখন আনন্দতার বকুল ফুল।
সারা পৃথিবীতে সুবাস ছড়াবে কস্তুরীসম প্রেম অতুল।
আমাদের এই প্রেমের কাহিনী সন্দেশ হবে যুগান্তর।
অতীতের যত প্রেমগাথারাশি গ্রন্থিত হবে অবান্তর!
লাইলি-মজনু, শিরি-ফরহাদ,
চন্ডি-রজকিনি হবে বরবাদ;
অনাদিকালের সকল বারতা নূতন ধারায় লিখবে সবে।
অমরাবতীর সঘন পিরিতি বেঁচে রবে সব অসম্ভবে।
নির্জন বনে পূর্ণচন্দ্র জোছনা ছড়ায় যেমন করে;
সুখ-শান্তির মন্দারসার ছড়াবো ভুবনে তেমন করে।
স্বর্গ-মর্ত্য হবে একাকার,
ঝেড়ে ফেলে দিয়ে সকল বিকার;
আলিঙ্গনের কোমল পরশে মরণের সুধা করবো পান।
সজল নয়নে মুগ্ধচিত্তে করবে না কেউ অসম্মান
প্রতিসন্ধ্যায় ঝিল্লির ডাকে বাজবে যখন করুণ সুর।
বলবে সবাই, ''ওই শোন্ শোন্, বিরহ-গীতিকা দুখ-বিধুর।
নিষ্কাম ছিলো তাঁরা বসুধায়,
ভালোবেসেছিলো অরূপ ধারায়;
সৃজন করেছে স্বর্গীয় প্রেম মোহের-লোভের মর্ত্যলোকে"।
বিরহের গানে বিষন্ন প্রাণে তাঁরাও কাঁদবে অতল শোকে।
১৪/০২/২০২৫
ঢাকা।