বদ্ধঘরে একলা শুয়ে অলস মনে
যখন আমি ভাবতে থাকি স্বর্গ-নরক
আকাশ-পাতাল অতীত কথা অন্ধকারের ভিড়ে।
তখন হঠাৎ ভালোবেসে হাতছানি দেয়
আকাশপারের রজতগোলক- ইন্দুমনী;
বলে আমায়,  আয়, ওরে আয় ফুলের বনে,
খোলা মাঠে, জলবতী স্নিগ্ধ নদীর তীরে।

কাঠবিড়ালির চঞ্চলতায় ত্রস্ত হয়ে
ছুটে চলি রাত-বেড়াতে একলা আমি
স্বর্গচ্যুতা প্রজাপতির রঙিন পাখায় চড়ে।
নিশি পাওয়া মানুষ যেমন ঘর ছেড়ে যায়
অবহেলায় দূর অজানায় সকল ভুলে
তেমনি করে যাই ছুটে যাই নিশির নেশার ঘোরে।

কি করে যে কি হয়ে যায় ভুবনতলে!
বুঝি না তার ছলচাতুরির ছলাকলা
বিষয় আশয় মজ্জাগত আবেগধারা;
তবুও, তারে ভালোবেসে আপন করে ভাবি।
হাঁটু গেঁড়ে ফুল তুলে দেই শুভ্রপ্রেমের হীরক চোখে
তাকিয়ে রই অনিমেখে
শিরায় শিরায় জাগে তখন চিত্তআগুন নির্বাপনের দাবী।

তখনই সে হাসতে থাকে ভাসতে থাকে
নীল আকাশের ধোয়ার মতো
হঠাৎ করে পাখনা মেলে যায় মিলিয়ে
সুদূরপারের অবিন্যস্ত দেশে।
আকাশেজোড়া আর্তনাদে বুক ফাটিয়ে
সকল ফেলে রই তাকিয়ে মর্ত্যলোকের পরবাসী
জোড়াতালীর অভিমানের শেষে।

চারিদিকে আঁধার নামে নিকষকালো
চন্দ্র ডোবে নিষিদ্ধ এক সাগরজলে
বাণীর বীণার তার ছিঁড়ে যায়, বসে থাকি একা।
বাদল নামে নয়ন জুড়ে ক্রমাগত
নিউটনের বৈজ্ঞানিক সূত্র-মতো
ভুবনে তলে ক্রিয়ার প্রতিক্রিয়া সমান;
সবার শেষে এইতো হলো শেখা।

স্বপনধারা ভেঙ্গে গেলে দেখি,
বদ্ধঘরে একলাই আমি
অন্ধকারে পড়ে আছি, এ কি!

০৬/০১/২০২৫
ঢাকা।