অস্তপারের গভীর রাগিনী ক্রমশ আসছে ধেয়ে,
নিরাসক্তের নয়নযুগলে অপলক থাকি চেয়ে।
পুরনো ক্ষতের, পুরনো শোকের নীরব আর্তনাদ,
ব্যাকুল ভাষার নাট্যমঞ্চে করে নাকো প্রতিবাদ।
জীবনের মানে বুঝতে পারিনি, অদ্ভুত পরিহাস!
গোপনে গোপনে নিয়ত ছড়াই দীঘল দীর্ঘশ্বাস।
বর্ণবিহীন দুঃখের সাথে শর্তের কারাগারে
বেঁচে আছি, শুধু প্রতীক্ষা নিয়ে গহীন অন্ধকারে।
সংসার ছেড়ে বিবাগী হইনি, হয়েছি কালের বোঝা,
কামনা-বাসনা, বক্রচিত্ত এখনো হয়নি সোজা।
সংশয়ময় জীবন চলছে উতলা নদীর টানে,
কোথায় ভিড়বে জীর্ণ তরণী, অজানার কোনখানে?
জানিনা কিছুই, ভাবি না কিছুই, উদাসীন মনে চলি,
মোক্ষও নেই, তীর্থও নেই; নেই কোন নামাবলী।
সন্ধ্যাকিরণ হাসছে নীরবে ডাকছে আমারে, "আয়,
কালের প্রভাবে বিলাসব্যসন সবকিছু ভেসে যায়।
ঊর্মিমূখর সাগরের জল শুকায় অনর্গল,
মরুভূমি হয় স্বচ্ছ নদীর জলধারা টলমল।
আশার স্বপন, চপল বাসনা রহে নাতো চিরকাল,
চলে আয় তুই সবকিছু ছেড়ে ওড়ায়ে জীবন-পাল"।
গোধূলিকালের আহ্বান শুনি সময়তো আর নাই,
অশ্রুজলের প্লাবন ঠেলিয়া অজানায় ভেসে যাই।
মানুষজীবন ক্রান্তিকালের রণক্ষেত্রের মাঠ,
নীলগিরিশিরে দুঃখাতুরের জীবনের চারুপাঠ।

০২/০১/২০২৫
ঢাকা।