১ টি দেশের জন্য রক্তসিন্ধু তলে
৯ মাস অবিরাম মরণ-পণের যুদ্ধ চলে,
৭ জন বীরশ্রেষ্ঠ এবং লক্ষ প্রাণের বিনিময়;
১ খানা লাল-সবুজের পতাকা অর্জিত হয়।
শুধুই গর্জনে নয়; যুদ্ধে গড়ে সুখের আবেশ-
আমার সোনার বাংলাদেশ!
দীপ্ত প্রাণের গভীর থেকে
অতান্দ্রিক প্রহরীর চোখে তোমাকে রাখবো দেখে,
এ প্রত্যয়ে অবিরাম পাহারা বসাই;
জংলি-জানোয়ার হায়েনারা যেনো অর্জিত স্বাধীনতাকে
খাবলে ধরতে না পারে, তাই।
রক্তসিক্ত মাটির সৌরভ করতলে নিয়ে বলি-
তুমিই আমার প্রেম, তৃপ্ত হৃদয়ের নামাবলী।
উচ্চারিত কঠিন সত্যের মতো আলোকিত পাষাণ পরাণ
দিগন্তের অধিকার ছাড়া মানবে না পিছুটান।
প্রবাহমান নদী যেমন ছুটে চলে
ঊষর মরু, বন-জঙ্গল আনতে তার দখলে
দীপ্র-তীব্র স্রোতের কৌশলে, অধিকার করে নিতে
প্রতিবন্ধক সমস্ত বাঁধা-বিপত্তির বিপরীতে;
তেমনি আমিও জানি, তা-তো গল্প নয়;
ওই চেয়ে দেখো ১৯৭১-এর বিজয়।
কবিতার মতো স্বচ্ছ আমার বচন
এখনো হৃদয়ে জাগিয়ে রেখেছি সেই একাত্তরের চেতন।
দূর হয়ে যা পাপে পঙ্কিল অশুভ প্রাণের কালো,
রুদ্ধ ঘরের জানালা খুলেছি এবার আসবে উজ্জ্বল আলো।
মায়ের কসম, পিতা-পিতামহের কসম আজ,
কসম আরো সেই কিংবদন্তির নামে;
আলোর কিরণ আনবোই এই দেশে
যুদ্ধ জয়ের রক্তিম হিরন্ময় খামে।
এখনো যে প্রাণময় কবিতার মতো জেগে আছে
এই বাংলার প্রতিটি গ্রাম,
ভুলেনি বায়ান্ন ছিষট্টি ঊনসত্তর একাত্তর,
অমিত সাহসী 'জয় বাংলা' শ্লোগানের স্বরগ্রাম।
শ্বাপদ নখের তীক্ষ্মতাকে চিরতরে ভেঙ্গে দিতে
এখনো সাহস আছে, শক্তি আছে বাঙালির চিতে।
প্রগাঢ় শ্যামল বাংলাদেশ আবার জাগ্রত হও,
শত্রু হননের শক্তি নিয়ে সকল সংকটে জাগ্রত রও।

১৬/১২/২০২৪
ঢাকা।